ডিবির এডিসি সাকলায়েনের বাসায় পরীমণির ১৮ ঘণ্টা, ফুটেজ নিয়ে তুলকালাম
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি কিছুদিন আগে বোটক্লাবের ঘটনায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। সে মামলার তদন্তের দায়িত্ব এক পর্যায়ে পায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সে অনুযায়ী পরীমণির ‘আদ্যপ্রান্ত’ তদন্তের ত্বত্তাবধায়ন করার দায়িত্ব পান বিসিএস-৩০ ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিল।
পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েন শিথিল মামলার তদন্তে নেমে পরীমণির অন্ধকার জগতের অনেক তথ্যই বের করে আনেন। বিষয়টি এমন যে, নায়িকা পরীমণির অতীত আর বর্তমান আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তদন্তের এক পর্যায়ের পরীমণি জানতে পারেন তার অন্ধকার জগতের সবকিছুই জেনে গেছেন ডিবি কর্মকর্তা সাকালায়েন। যে কারণে তিনি ওই কর্মকর্তার সঙ্গে বিশেষ সখ্যতা গড়ে তুলেন।
গুঞ্জন উঠছে এই সখ্যতার সুযোগ হাতছাড়া করেননি ডিবি কর্মকর্তা শিথিলও। যার প্রমাণ বেরিয়ে আসে সম্প্রতি ডিবি কর্মকর্তার বাসভবনের সিসিটিভি’র ফুটেজে। যেখানেস দেখা যায়, ওই ডিবি কর্মকর্তার ফ্ল্যাটে সকালে ঢুকে গভীর রাতে বের হয়ে যাচ্ছেন পরীমণি। পরী সকালে ঢুকেছিলেন সাদা পোষাকে, আর বের হয়ে যাচ্ছিলেন কালো পোষাকে! যে বিষয়টিকে কেন্দ্র ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
যমুনা টেলিভিশনের কাছে পরীমণির গাড়ি চালক নাজির হোসেন ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে পরীমণি- সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়েছে।
সে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, রাজাবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত একজন প্রথমে নামেন। এরপর কোলে একটি কুকুরসহ সাদা রংয়ের জামা পরে নামেন আলোচিত নায়িকা পরীমণি।
রিসিপশনে থাকা সদস্যদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে দু’জন লিফটে প্রবেশ করেন। পরে গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ট্রলি ব্যাগ। এরপর রাত দেড়টার দিকে ওই ভবনের সামনে আবার আসে পরীমণির গাড়ি। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরীমণির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক।
পরীমণির গাড়িচালক নাজির জানান, পরীমণির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ছিলেন ডিবি কর্মকর্তা সাকলায়েন। এর আগেও হাতিরঝিল এলাকায় একই গাড়িতে তারা দু’জন সময় কাটিয়েছেন, ঘোরাঘুরি করেছেন।
ঘটনা জানাজানির পর প্রাথমিক তদন্তে সাকলায়েনের সাথে পরীমণির সরকারি ফ্ল্যাটে প্রবেশ এবং দীর্ঘ সময় অবস্থানের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ । তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি গোয়েন্দা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন পরীমণির সাথে সম্পর্ক এবং সরকারি বাসায় প্রবেশের বিষয়টি অস্বীকার না করে বলেন, মামলাটির চার্জশিট জমা দেয়ার পর, পরীমণি কেনো যেকোনো কারো সাথে সম্পর্ক চলাফেরার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। কোন কোন মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। খবর: যমুনা টেলিভিশন