১৬ বছরের কম বয়সীরাও পাবেন জাতীয় পরিচয়পত্র
মহামারী কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর ধারাবাহিকতায় এবার ১৬ বছরের কম বয়সীদেরও এনআইডি কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার সব বয়সীদের করোনা টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বর্তমানে ২৫ বছর বয়স থেকে দেওয়া হচ্ছে এই টিকা। ধীরে ধীরে ১৮ বা তার নিচের বয়সীদেরও টিকা দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে এনআইডি সার্ভারের সঙ্গে মিল রেখে দেওয়া হচ্ছে টিকাকার্ড। টিকা কার্ড পেতে যেন ১৮ বছরের কম বয়সীদের কোনো সমস্যা পোহাতে না হয়, তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।
আর এ বিষয়টি নিয়ে গত ৮ আগস্ট এনআইডি অনুবিভাগ একটি সভা করেছে। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ১ জানুয়ারি, ২০০৬ (চলতি বছরের ১১ আগস্ট যাদের বয়স হয় ১৫ বছর ৭ মাস ১০ দিন) বা এর পূর্বে যাদের জন্ম তাদের এনআইডি দেওয়া হবে। অর্থাৎ চলতি মাসে যদি বিষয়টির অনুমোদন দেয় কমিশন তবে, ১৫ বছর ৭ মাসের ঊর্ধ্বে যে কোনো নাগরিক এনআইডি পাবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর স্বাক্ষরিত ওই সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ১ জুনয়ারি ২০০৬ বা এর পূর্বে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের নিবন্ধন করার লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য কমিশনের অনুমোদন গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি বাস্তবায়ন করবেন এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এনআইডি অনুবিভাগের এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর কমিশন অনুমোদন দিলে আগামী মাস থেকেই ১৫ বছর ৭ মাসের ঊর্ধ্বে যে কোনো বাংলাদেশী নাগরিক আবেদন করলে পেয়ে যাবে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র।
এ বিষয়ে এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার এ বলেন, ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে টিকা কার্ড পেতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই এ কার্যক্রম হাতে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পরিচালক (অপারেশন) নুরুজ্জামান তালুকদার আরো বলেন, আমরা প্রস্তাবনা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছি। আর কমিশন যদি চলতি মাসে অনুমোদন দেয়, তবে আগামী মাস থেকেই ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীরা অনায়াসে এনআইডি নিতে পারবে। প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র দিয়ে অনলাইনে তারা আবেদন করলেই হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে কেবল দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ দিয়ে আসতে হবে।