লকডাউনে জরুরি কারণ ছাড়া বের হলে কঠোর শাস্তি
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধকল্পে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ সময় জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামী ১ জুলাই ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে সাতদিনের জন্য জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বন্ধের বিষয়ে সরকার বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সময়ে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মরতগণ ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারের তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংবলিত প্রজ্ঞাপন আগামীকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে তথ্য অধিদপ্তর।
গত ২৭ জুন করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এ বিধিনিষেধ অনুযায়ী সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সব হোটেল-রেস্তোঁরায় বসে খাওয়া-দাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে দেশে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
সব শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং সব ধরনের বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ট পর্যান্ত খোলা থাকবে। এসব হোটেল-রেস্তোরাঁ শুধু খাবার বিক্রি করতে পারবে। হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে কেউ খেতে পারবেন না।
সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও প্রতিষ্ঠান শুধু প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লোকজন আনা-নেওয়া করবে। গত শনিবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে ‘সীমিত আকারের লকডাউন’ ও ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২৮ জুন (সোমবার) থেকে সীমিত লকডাউন থাকবে। অনেক আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের জুন ক্লোজিং আছে। এজন্য ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে সারা দেশে টোটাল (সর্বাত্মক) লকডাউন শুরু হবে।’ ২৭ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে বলেন, এবারের লকডাউনে পুলিশ, বিজিবির বাইরে সেনাবাহিনী থাকবে।