যেদিন আমি চলে যাবো, ঠিক সেইদিন থেকে আমিহীন এই পৃথিবীটা কেমন হবে?
‘যদি আমি না থাকি’ নাটকটি ঈদের প্রথম দিনে ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পর পরই আলোচনায় এসেছে ঈদের এই নাটকটি।
নাটকটি প্রযোজনা করেছে লাইভ টেকনোলজিস এবং টার্ন কমিউনিকেশনস।
আশিকুর রহমান পরিচালিত তারিক আনাম খান, ইরফান সাজ্জাদ, অপর্না ঘোষ এবং মুনিরা মিঠু অভিনীত ভিন্ন ধরণের গল্পে নির্মিত নাটকটি রিলিজের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
পরিচালক আশিকুর রহমান জানান, যেদিন আমি চলে যাবো, ঠিক সেই দিন থেকে আমিহীন এই পৃথিবীটা কেমন হবে? এখন আমি যতটা আছি আমার চার পাশের সবকিছু জুড়ে, তখন এর কতটুকু থাকবো?
আদৌ কী আমি থাকবো কোথাও, যখন আমি থাকবো না? মানুষের শোকের আয়ু আসলে কতদিন? একটা মানুষ তো পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আসলে জানতে পারেনা তাকে ছাড়া তার সংসার, আত্মীয়স্বজন কিভাবে চলছে! কে কী করছে! তার কথা কি কেউ মনে রাখছে! নাকি ভুলে গেছে! এমন ভাবতে ভাবতে এই নাটকের মূল চরিত্র সোবহান সাহবের মাথায় একটা পাগলামি চেপে বসে।
তার সেই পাগলামির জেরে তার সামনে এক অনাকাঙ্খিত বাস্তবতা এসে হাজির হয়। তিনি বিস্মিত হয়ে পড়েন। এমন ভাবনা থেকেই নাটকটির সূত্রপাত। সেরকমই একটা গল্প দেখানো হয়েছে নাটকটিতে। আর এজন্যই নাটকের নাম রাখা হয়েছে ‘যদি আমি না থাকি’।
আশিক আরও জানান, ঈদ উপলক্ষে মুক্তি দেয়া হলেও নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকের গল্প নিয়ে। আমার কাছে এটি আরেকটি একটি স্পেশাল কনটেন্ট। ইউটিউবে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। দর্শকরা নাটকটি উপভোগ করছেন, বিশেষ করে নাটকটির ভিন্নধর্মী গল্প ও নান্দনিক উপস্থাপন। আশা করা যাচ্ছে এই নাটকটিও দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে। আর এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি ‘টার্ন কমিউনিকেশন্স’কে।
ঈদের এ নাটকটি প্রচারের পর দারুণ সাড়া ফেলেছে। অনেকেই ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এর নির্মাতা ও সংশ্লিষ্টদের।
এক দর্শক শামসুল হুদা মোস্তাফা লিখেছেন, অনেক কিছুই লেখা যায়, তবে এমন দারুণ কিছুর পর আর কিছু না বলাই সব থেকে সুন্দর। শুধু বলব দেখে নিয়েন।
আর-এক দর্শক বিশ্বজিত দাস লিখেছেন, কি সুন্দর গোছানো একটা গল্প। খুবই ভালো লাগল। এমনই দারুণ সব কাজের প্রত্যাশা রইল।
এম হাসান লিখেছেন, অনেকদিন পর এরকম একটা পরিচ্ছন্ন কাজ দেখলাম। মনটা জুড়িয়ে গেল। নাটকে বাবার চরিত্রে তারিক আনাম খান নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন। বিশেষকরে তার ডায়ালগগুলো – কী অসাধারণ আর জীবনঘনিষ্ঠ। এই ধরনের নাটক আরো নির্মাণ হোক। ধন্যবাদ নির্মাতা, কলাকুশলী ও অভিনয়শিল্পীদের।
মাহাথির স্পন্দন লিখেছেন, বেশ ভালো কন্টেন্ট। অনেকদিন পর ফেমিলি বেজড-স্টোরি নিয়ে পরিচ্ছন্ন একটি কাজ দেখলাম। নাটক ও এর সংশ্লিষ্টদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এমন অনেক দর্শক।