মালয়শিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতার সুযোগ বাড়লো
মালয়েশিয়ায় বাড়ানো হয়েছে বৈধতার সুযোগ। গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া শ্রম পুনরুদ্ধার রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচির মেয়াদ ছিল গেল মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এই সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। সরাসরি কোনো ঘোষণা না আসলেও ইমিগ্রেশনের ওয়েভের তথ্য মতে, এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বৈধতার এ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি অভিবাসী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার অভিবাসী বৈধতা পেতে আবেদন করেছেন। বাকি প্রায় এক লাখ অবৈধ অভিবাসী নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলমান রিকেলিব্রেশন প্রোগ্রামে বিদেশিদের নিবন্ধিত করতে প্রায় ৫০৯ জন নিবন্ধিত নিয়োগকর্তা কাজ করছেন। কর্মসূচি শুরুর আগে বৈধভাবে অবস্থান করার জন্য ‘সোর্স কান্ট্রি’ হিসেবে পরিচিত ১৫ দেশের নাগরিকদের অনুরোধ করেছে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস। এটি মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী এবং নিয়োগকর্তাদের শৃঙ্খলিত করতে সরকারের একটি প্রচেষ্টা।
অবৈধ শ্রমিকদের বৈধকরণের বিষয়ে ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূতদের সামনে বছরের শুরুতে এক বৈঠকে প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তুলে ধরেছিলেন দেশটির ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদ। এর আওতায় বৈধ হতে নির্দিষ্ট শর্তারোপ করে কিছু যোগ্যতা চেয়েছিল দেশটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
যেমন- যারা বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় এসে ভিসায় উল্লিখিত নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করছেন; কিন্তু ভিসা রিনিউ করেননি বা ওভার স্টে হয়েছে, যারা নিজ কোম্পানিতে কাজ করেননি এবং যারা নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে গেছেন, তারা এ প্রক্রিয়ায় বৈধ হতে পারবেন।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা এমন অনিয়ম করেছেন, তারা এই সুযোগ পাবেন। এর পরবর্তী সময়ে কেউ এসব অপরাধ করলে তারা এ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাবেন না। ২০১৬ সালে ঘোষিত ‘রি-হায়ারিং’ বৈধকরণ কর্মসূচির সঙ্গে চলমান এই রিকেলিব্রেশনের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বিষয়টি বুঝতে না পারলে রয়েছে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি।
যেমন— রিহায়ারিংয়ে নৌ, সাগর বা স্থলপথে অবৈধভাবে যারা অনুপ্রবেশ করেছিল, তাদেরও বৈধতা দিয়েছিল দেশটি। এ কর্মসূচিতে সে সুযোগ নেই। সেবার বিভিন্ন ভিসাধারীকেও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এবার সুনির্দিষ্ট করে ‘পিএলকেএস’ উল্লেখ করা হয়েছে এবং অবশ্যই বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
চলমান করোনা মহামারির কারণে নতুন করে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না বিশ্বের কোনো দেশেই। সব কিছুর চাইতে সরকারগুলো এখন নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি দেশে থাকা বিদেশিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আনারও কৌশল নিয়েছে মালয়েশিয়া।