মারা গেলে তিনজনকে ‘হত্যার নির্দেশ’ কাদের মির্জার
তাকে যদি কখনো মারা হয় তাহলে ভাইসহ তিনজনকে হত্যার জন্য কিলার রেডি করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে এই কাজ করেছেন বলে জানান তিনি।
বড়ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে কাদের মির্জা বলেন, আপনি আমাকে জেলে দিবেন, আপনিও বাহিরে থাকতে পারবেন না। আমাকে মেরে ফেলবেন আপনাকেও বাঁচতে দেয়া হবে না। যে মাঝি নদীতে নৌকা বায়, নদীতেই তার সলিল সমাধি হয়। আমিও পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে লোক রেডি করেছি।
তাদের বলেছি আমাকে মারা হলে ওবায়দুল কাদের, তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদের ও একরাম চৌধুরীকে মেরে ফেলবে। তিনি বলেন, এবার যা খুশি করেন। আপনি যেরকম বাহিরের কারো কারো সহযোগিতা নিয়ে রাজনীতি করেন, মনে রাখবেন আমরাও পিছিয়ে নেই। চোখ রাঙাবেন না, মুখ সামলিয়ে কথা বলবেন।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে এখন ‘ওয়ান ম্যান শো’। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা, বিএনপিতে খালেদা জিয়া। আর খালেদা জিয়ার ছেলে বিদেশে বসে চাঁদাবাজি করছে। আমাদের দলের লোকজন পরে বাঁচার জন্য তাকে চাঁদা দিয়ে আসে।
মেয়র আবদুল কাদের শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি যাদের পুষছেন, তারা কেউ কাজে আসবে না। এরা সব লুটেরা, একটাও ভালো লোক নাই। আপনি সঠিকভাবে ভোটের প্রস্তুতি নেন, হেরে গেলেও জনপ্রিয় থাকবেন। তবে আপনি হারবেন না। কারণ দেশে শক্ত কোনো বিরোধী দল নাই।
স্থানীয় রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদের কী বললেন সেটা আমার জানার বা দেখার বিষয় না, এটা আমার এলাকা আমি দেখবো। ওবায়দুল কাদের আপনার সংসার (আওয়ামী লীগ) আপনি চালান। সামনে আপনি বা আপনার স্ত্রী কীভাবে এখানে ভোট করেন সেটাও আমি দেখবো।
তিনি বলেন, এক সময় আল্লাহর পরে বড়ভাই হিসেবে আপনাকে শ্রদ্ধা-সম্মান করতাম। এখন করি না। কারণ আপনি কীভাবে আমাকে বাদ দিতে নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) বলেছেন। এখন আল্লাহর পরে আমি শ্রদ্ধা-সম্মান করি শেখ হাসিনাকে। তবে ভয়ে নয়, তার নীতি-নৈতিকতার জন্য তাকে সম্মান করি।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, প্রশাসন দিয়ে মওদুদ আহমদের শোকসভা করতে আপনি দেননি। আমিও দেখব আপনার মৃত্যুর পর কে আপনার জন্য শোকসভা করে? আপনি তো তখন দেখবেন না, আপনার স্ত্রী তখন দেখবে।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের ও তার স্ত্রীর আমলনামা আমার কাছে আছে। তা মিডিয়ায় এখনো প্রকাশ করিনি, তবে করব। কারণ তার যে ছোট মানসিকতা, সে টাকা দিয়ে আমার সমস্ত আত্মীয়স্বজন তার পক্ষে নিয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত আমার স্ত্রী ও ছেলেকেও বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে। শুধু আমার মেয়েটা আমার মনের কথাগুলো বুঝে।
কাদের মির্জা বলেন, আগামীকাল (রোববার) দলের সভা ডেকেছি। সেখানে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেবো। শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নাই। কারণ আমি যাই বলি কেউ শোনে না, ওবায়দুল কাদেরও আমাকে পাগল বলেন।