ভারত ফেরত আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা ৭ জন নারীসহ আরও ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি যাত্রীরা এবং বাংলাদেশে কর্মরত ও পড়াশুনা করতে থাকা ভারতীয় নাগরিকরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার ৯৭৪ জন দেশে ফিরছেন।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে যাত্রীরা ভারত থেকে ফিরতে পারছেন।
রোববার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ ভারত থেকে ফেরত নতুন শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাদের ১১ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ও বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তরা হলেন, জামালপুরের একজন মেডিক্যাল স্টুডেন্ট (২৭), নরসিংদীর একজন বৃদ্ধ (৬০), নারায়ণগঞ্জের একজন পুরুষ (৩৯), পাবনা রাধানগরের একজন পুরুষ (৩৪), গাজীপুর কালিগঞ্জের একজন মহিলা (৩৪),
ঢাকা আজিমপুরের একজন মহিলা (৩৪), চট্রগ্রামের একজন মহিলা (৩৪), ঢাকার একজন স্টুডেন্ট (২৪), ঢাকার একজন বৃদ্ধা (৬৫) এবং চট্রগ্রামের বিজিএস ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজের দুই জন নারী স্টুডেন্ট। তাদের দুই জনের বয়স ২২ বছর।
ইতিমধ্যেই ভারত ফেরত সবার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৭০ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এর মধ্যে অনেকেই নেগেটিভ সনদ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে চলে গেছেন। শনিবার পর্যন্ত ২৭ জন ভারত ফেরত যাত্রী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ জানান, ভারত ফেরতদেরকে কোয়ারেন্টিন মানতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত ২৭৪ জন যাত্রী কায়ারেন্টিনে আছেন। এছাড়া ভারত ফেরত মোট ৩৩১ জন যাত্রী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আর নতুন শনাক্ত ভারত ফেরত ১১ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ও বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকার ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও আখাউড়ার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।