ভারতে মাইকে আজান বন্ধে মামলা
ভারতে মাইকে আজান বন্ধের জন্য মামলা দায়ের আর কারণ হিসাবে বলা হয় মাইকে আজানের শব্দে সমস্যা হয়। এক ডাক্তর এমন অভিযোগ নিয়ে জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করেন।
গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গুজরাট হাইকোর্ট এ ঘটনায় রাজ্য সরকারের প্রতি নোটিশ জারি করেছে। ওই ডাক্তার গান্ধীনগরের বাসিন্দা।
ধর্মেন্দ্র প্রজাপতি নামের ওই ব্যক্তি মাইকে আজানের কারণে শব্দদূষণ হয় এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়, এমন অভিযোগ তুলে গুজরাটে মাইকে আজান নিষিদ্ধের জন্য মামলা করেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মেন্দ্র গান্ধীনগরের সেক্টর ফাইভ সি’র বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, মসজিদে মুসল্লি উপস্থিতি কম হলেও তার এলাকার মুয়াজ্জিন পাঁচ ওয়াক্ত লাউডস্পিকারে আজান দেন।
তার দাবি, এতে আশেপাশে বসবাস করা ব্যক্তিদের খুব অসুবিধা হয় এবং এটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষজনের সুখে-শান্তিতে বাস করার অধিকার রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসময় প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ও বিচারপতি আশুতোষ শাস্ত্রীর দ্বৈত বেঞ্চ ধর্মেন্দ্রর আইনজীবী ধর্মেশ গুরজারের কাছে জানতে চান, লাউডস্পিকারের শব্দ কতটুকু থাকা উচিত। এসময় তিনি আদালতকে বলেন, শব্দদূষণের গাইডলাইন অনুযায়ী শব্দ ৮০ ডেসিবলের বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু আজানের সময় ২০০ ডেসিবলের বেশি শব্দ হয়।
তখন আদালত জানতে চান, বিয়ে এবং অন্য উৎসবের সময় যে শব্দদূষণ হয়, সে বিষয়ে কী বলবেন? ধর্মেশ বলেন, বিয়ে মানুষের জীবনে একবারই হয়, তাই তখন শব্দ করে গান-বাজনার বিষয়টি বোধগম্য।
তিনি বলেন, কিন্তু যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী নয়, তাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত মাইকে আজান শোনা শব্দদূষণ। এসময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি রায়কে নিজেদের যুক্তির পক্ষে তুলে ধরেন ধর্মেশ।
ডাক্তর ধর্মেশ আরও বলেন, লাউডস্পিকারের কারণে শব্দদূষণ ‘গুরুতর মানসিক অসুস্থতা, বয়স্ক ব্যক্তি এবং ছোট শিশুদের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে এবং এটি সাধারণ মানুষের কাজের দক্ষতাকেও প্রভাবিত করে। সংক্ষেপে বলতে গেলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।