ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএসএফের বাধায় রেলওয়ের স্থাপনার কাজ বন্ধ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দেড়শ গজের ভেতরে দাবি করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা অংশের নির্মাণাধীন একটি রেলওয়ে সেতুসহ দুটি আধুনিক রেলওয়ে স্টেশনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
ফলে গত এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারের উন্নয়নমুখী সম্প্রসারিত এই ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্প। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শিগগিরই সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারত সীমান্তবর্তী কসবা উপজেলার সম্প্রসারিত ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের নির্মাণাধীন কসবা রেলওয়ে স্টেশন, সালদা-নদীর ওপর নবনির্মিত একটি রেলসেতু এবং সালদানদী রেলওয়ে স্টেশনে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দেড়শ গজের ভেতরে দাবি করে রেললাইনের পাশে লাল নিশান টানিয়ে সতর্কতা জারি করে বিএসএফ। যার কারণে গত এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে প্রকল্পের কাজ। এতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মূল্যবান নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট হওয়ায় উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এখন পর্যন্ত এই রেলপথে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে বিএসএফ এর বাধা দেওয়ার ঘটনা অযৌক্তিক। তারা অবিলম্বে সমস্যা সমাধান করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গুলোর নির্মাণ কাজ দ্রুত চালু করার দাবি জানান।
সালদা নদী এলাকার বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারতের জিরো লাইনের দেড়শ গজের ভিতরে হওয়ায় বিএসএফ বিজিবিকে বলেছে কাজ বন্ধ রাখার জন্য। এ কাজটা দ্রুত হয়ে গেলে আমাদের দেশের জন্য সবার জন্য উপকার হবে। এ কাজটা যেন দ্রুত করা হয় আমরা সেই দাবি করি।
মোস্তফা কামাল নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, জায়গাটি সীমান্তের দেড়শ গজের ভেতরে থাকার কারণে নোম্যান্স ল্যান্ড আইনের কারণে এই কাজ বিএসএফ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চাই অতিদ্রুত বাংলাদেশ রেলওয়ের বন্ধ থাকা কাজটা অতি দ্রুত যেন শুরু হয়। সরকার যেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের সেতু বিভাগের এই প্রকৌশল জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধার কারণে গত এক বছর ধরে স্থাপনা গুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে।