ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদ চলে গেলেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সাদেকপুরের গেরিলা যোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদ সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
গত শুক্রবার (৬ আগস্ট) ভোর রাতে রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদ মারা যায় (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)।
রাজা খাঁ জামে মসজিদের মাঠে জানাজা শেষে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করেন সদর উপজেলার এসিল্যান্ড সাইফুল আরেফিন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদের মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন সাদেকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কালীন ৩নং সেক্টরের গ্রুপ কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুখলেছুর রহমানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
গেরিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদ ১৯৫৬ সালে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রাজা খাঁ গ্রামে জন্ম নেন। তার পিতা হাজী মহজম ভুইয়া। তারা দুই ভাই এবং চার বোন। ১৯৭১ সালে পরিবারের সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে। অদম্য সাহসী আলী আহম্মদ ৩নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল সুফিউল্লাহ নেতৃত্বে একাধিক স্থানে ভয়াবহ সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন।
মৃত্যুর সময় তিনি তার ছোটভাই হাজী মোহাম্মদ আলী ও ৪ ছেলে, ৪ মেয়ে আরও পরিবারের দুই স্ত্রী ও নাতি নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।