দেশের বেশিরভাগ এলাকায় কার্যকর হয়নি ইন্টারনেটের ‘এক দেশ এক রেট’
দেশের বেশিরভাগ এলাকায় কার্যকর হয়নি ইন্টারনেটের ‘এক দেশ এক রেট’। অথচ নীতিমালা প্রণয়নের এক মাস পার হয়ে গেছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতোমধ্যে অভিযোগ জমা পড়ছে বিটিআরসি ও আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনে। তবে ইন্টারনেট অপারেটররা দুষছেন ট্যারিফ প্ল্যানে সংস্কার না হওয়াকে।
ইন্টারনেট অপারেটররা বলছেন, বন্ধ করতে হবে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। সারাদেশে সাশ্রয়ী ও দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এই নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়।
তবে এখনও বেশিরভাগ এলাকার গ্রাহকরা নির্ধারিত মূল্যে সেবা পাচ্ছেন না, এমনকি তাদের সরকারের নির্দেশ এর কথা বললেই গ্রাহকদেরকে শুনতে হচ্ছে নানা বাঝে কথা। বেশী কথা বললে ইন্টারনেট কানেকশন কেটে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে, এমনকি আর কে কানেকশন দিবে তাও দেখে নেবার কথা বলা হয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আইএসপির কাছেও দেশের বেশিরভাগ এমন অজস্র অভিযোগ জমা পড়ছে। আইএসপিএ জানায়, সংশ্লিষ্ট সব ধরনের অপারেটরের ট্যারিফ প্ল্যানে সংস্কার করা হলে এই জটিলতার অবসান ঘটবে।
তবে দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির দাবি, ভ্যালু চেইনের সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক দেশ এক রেট বাস্তবায়নে গড়িমসির কোনো সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।
আইএসপি অভিযোগ করছে, দু’হাজারের বেশি লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান চলমান আছে। এদের গ্রাহক সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি। অবৈধ এসব ইন্টারনেট অপারেটদের দৌরাত্ম্যে, সরকারের ‘এক দেশে এক রেট’ কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ছে। অবৈধ অপারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি, ‘এক দেশ এক রেট’ বাস্তবায়নে এবার স্থানীয় প্রশাসনকে মাঠে নামানো হচ্ছে বলেও জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে।
এখানে উল্লেখ্য যে, দেশের সকল গ্রাহক পর্যায়ে ৫ এমবিপিএসের জন্য ৫শ টাকা। ১০ এমবিপিএস ৮শ এবং ২০ এমবিপিএসর জন্য সর্বোচ্চ ১২শ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিটিআরসি।