ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হলো করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হলো চার চিকিৎসক ও নার্স সহ করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগ ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ঢামেকে ১২০টি টিকা প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঢামেকে প্রথমে টিকা নিলেন নাক,কান ও গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি। জনাব রুমিকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
দ্বিতীয় টিকাটি নিলেন, ডাক্তার ইসমেহান আশরাফ। তিনি ঢামেক হাসপাতালের ইনডোর অফিসার। তৃতীয় টিকাটি নিলেন, মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার উদ্দিন হাসান চৌধুরী।
চতুর্থ টিকাটি নিলেন, সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মুরাদ হোসেন মেডিসিন বিভাগ। আর পঞ্চম টিকাটি নিলেন একশ তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইনচার্জ অফিসার হাসান তারেক।
টিকা নেওয়ার পর অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি জানান, অনেক উন্নত দেশের আগে বাংলাদেশে টিকা নিতে পেরেছি। আমার খুব ভালো লাগছে। আপনারা সবাই টিকা নেবেন। আমি আজ টিকা গ্রহণ করেছি যাতে করে আমাদের অন্যান্য ডাক্তার, নার্স ও সাধারণ জনগণ ঢামেকে করোনা টিকা নিতে উৎসাহিত হন।
এই সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.নাসিমা সুলতানা জানান,গতকাল (বুধবার) আমাদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। আমি টিকা গ্রহণ করেছি। আমি নিজকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আমার কোনও অসুবিধা হয়নি। আপনারাও টিকা গ্রহণ করুন। আমার ভ্যাকসিন নেওয়ার উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে কেউ যেন ভয় না পান। টিকা নেওয়ার পরে আমার কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি এবং কোনও ব্যথা অনুভূত হয়নি।
এছাড়াও গত রাতে আমার কোনও সমস্যা হয়নি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি খুব সুস্থভাবে এখানে এসেছি। টিকা নিয়ে কোনও অপপ্রচারে আপনারা কান দেবেন না। এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান,আজ আমাদের ১২০টি টিকা রয়েছে। আমরা দুপুর ২টা পর্যন্ত এই টিকাদান কার্যক্রম চলমান রাখবো। আপনারা সবাই নিবন্ধন করবেন। নিবন্ধনের অনুযায়ী আমরা টিকা প্রয়োগ করবো।
আরও খবর: