জরুরি প্রয়োজনে বের হতে এবারও চালু থাকবে ‘মুভমেন্ট পাস’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে সোমবার থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’ এবং এই সময়ে বাইরে বের হতে হলে অনলাইন থেকে এবারও ‘মুভমেন্ট পাস’ বা চলাচলের অনুমতি সংগ্রহ করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা চলবে।
কেউ যাতে ফাঁকি দিয়ে অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা করতে না পারে সেজন্যই মুভমেন্ট পাসের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানানো হয়।
মুভমেন্ট পাসের বিষয়ে আজ শনিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলেও জানায় পুলিশ সদর দফতর। সাংবাদিকদের মুভমেন্ট পাস প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ জুন) তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে।
মুভমেন্ট পাসের জন্য https://movementpass.police.gov.bd লিংকে ঢুকে আবেদন করতে হবে। মুভমেন্ট পাস ক্লিক করে মোবাইল নম্বরটি প্রবেশ করাতে হবে। এরপর গ্রাহকের মোবাইলে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) চলে যাবে। ওটিপি প্রবেশ করালে পাসের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মুভমেন্ট পাসের জন্য যে থানা এলাকা থেকে যাবেন, যে থানা এলাকায় যাবেন, নাম, লিঙ্গ, বয়স, ভ্রমণের কারণ, পাস ব্যবহারের তারিখ ও সময়, পাসের মেয়াদ শেষের তারিখ ও সময়, জাতীয় পরিচয়পত্র, নিজস্ব গাড়ির তথ্য এবং ছবি এসব তথ্য দিতে হবে।
‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া যারা বের হতে পারবে এই পাসধারী ব্যক্তি বাধামুক্তভাবে সড়কে চলাচল করতে পারবেন। তবে সবাই এই পাস পাবেন না। শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হবে এই পাস। যিনি পাস পাবেন শুধু তিনিই এটি ব্যবহার করে কাজ করতে পারবেন।
পাস নেওয়ার সময় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে চাইলে আবেদনকারী সেটাও করতে পারবেন। পাস কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য না। তবে সাংবাদিকদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
গত ১৩ এপ্রিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটোরিয়ামে মুভমেন্ট পাস অ্যাপের উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।