ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও টাইগারদের
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। প্রথমে লিটনের ব্যাটিং তান্ডবে দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড স্কোর গড়ে স্বাগতিকরা। এরপর সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৭৭ রানের বড় জয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতল টাইগাররা।
বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে ১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে বাংলাদেশ।
জবাবে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে আয়ারল্যান্ড। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
স্বাগতিকরা এদিন ওপেনার লিটন ও রনির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৩ রান তোলে । এরপর ৯.২ ওভারে ১২৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে। ২৩ বলে ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে বিদায় নেন রনি তালুকদার। তার ইনিংসে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা রয়েছে।
তবে তার আগেই বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়ল লিটন। স্রেফ ১৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ক্যারিয়ারের দশম টি-টোয়েন্টি ফিফটি করেছেন লিটন। এত দিন রেকর্ডটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে পঞ্চাশ করেন তিনি।
এ দিন প্রথম ওভারে দেখেশুনে শুরু। এরপর শুধু চলল ঝড়। একের পর এক চার-ছয়ে পাওয়ার প্লের ৫ ওভারে ৭৩ রান করেছে বাংলাদেশ। স্রেফ ৩.৩ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূরণ করেছে স্বাগতিকরা। এটিই দ্রুততম দলীয় পঞ্চাশ।
এর আগে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫০ করেছিল বাংলাদেশ। এরপর লিটক ৪১ বলে ১০টি বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৮৩ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে তাওহিত হৃদয় ১৩ বলে ২৪ রান করে আউট হন।
তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২৪ বলে ৩৮ ও শান্ত ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইরিশরা।