আমার ‘ভাই’কে নিয়ে কারাবাখে শহীদের কবরস্থানে যাব
এরদোগান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ন্যাটো সম্মেলনের পরই তিনি আজারবাইজান সফর করবেন। এ সময় তিনি তার ভাইকে (আজারি প্রেসিডেন্ট-ইলহাম আলিয়েভ) সঙ্গে নিয়ে সুসা এলাকায় অবস্থিত কারাবাখ যুদ্ধে শহীদদের করবস্থান পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন। খবর ডেইলি সারাহর।
আগামী বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ন্যাটো সম্মেলন। এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন এরদোগান; এর পরই তিনি আজারবাইজান সফরে যাবেন। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর সুসা গত বছর আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে মুক্ত করে আজারবাইজান।
এ যুদ্ধে পরোক্ষভাবে আজারবাইজানকে সামরিক সহায়তা করে তুরস্ক। এ কারণে এরদোগানকে ভাই বলে সম্বোধন করেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। আজারবাইজান সফরকালে ইলহাম আলিয়েভকে নিয়ে সুসায় কারাবাখ যুদ্ধে শহীদদের কবরস্থান পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন।
১৯৯২ সালের ৮ মে থেকে আর্মেনীয় বাহিনী আজারবাইজানের ওই এলাকাটি দখল করে রেখেছিল। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৪৪ দিন বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলে।
১৯৯০ সালের যুদ্ধে এই অঞ্চলটির দখল হারিয়েছিল বাকু। এর পর থেকে প্রায় তিন দশক ধরে আর্মেনীয় জাতিগত গোষ্ঠী এর নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর পর তারা ওই অঞ্চলে সরকার গঠন করেছিল। তবে সেই সরকারকে আর্মেনিয়াও স্বীকৃতি দেয়নি।
আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। ছয় সপ্তাহ চলা যুদ্ধে আজারবাইজান কারাবাখে দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর সুসা দখল করে।
আজারবাইজানে একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আর্মেনীয় বাহিনী। এর পরই রাশিয়ার হস্তক্ষেপে দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়। ফলে যুদ্ধ ছাড়াই কয়েকটি অঞ্চলের দখল আসে আজারবাইজানের হাতে।