আমাদের বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় জনগণকে ধন্যবাদ: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা বারবার আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আর একটানা ক্ষমতায় থাকার কারণে আজ বাংলাদেশকে শুধু উন্নয়ন করা না, বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি; যেটা ২০০৮ সালে নির্বাচনের ইশতেহারে আমাদের ঘোষণা ছিল। এবং সেই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সামরিক বাহিনীকে আধুনিকভাবে গড়ে তোলা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করা এবং বিশ্ব দরবারে যেন তারা মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সেই অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নিই এবং বাস্তবায়ন শুরু করা হয়।
তিনি বলেন, একদিকে আমরা যেমন দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা, খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিই। সেই সঙ্গে মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি খাতগুলো উন্মুক্ত করে দিই, যাতে ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরকে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনী সম্পর্কে শিশু ও নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এই সামরিক জাদুঘর বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আবার যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন সময় দেশের জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন, দেশে বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করেছেন তাদের জন্য একটি প্রেরণা ও আত্মতৃপ্তির জায়গা হবে এই বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পশ্চিম পাশে ১০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। যেখানে স্বাধীনতার আগে ও পরে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উপস্থাপন করা হয়েছে।
জাদুঘরটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য নির্ধারিত গ্যালারিসহ ছয়টি পৃথক অংশ রয়েছে এবং প্রতিটি বাহিনীর গ্যালারিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। এখানে আর্ট গ্যালারিসহ মাল্টিপারপাস এক্সিবিশন গ্যালারি, ব্রিফিং রুম, স্যুভেনির শপ, ফাস্ট এইড কর্নার, মুক্তমঞ্চ, থ্রিডি সিনেমা হল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, লাইব্রেরী, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, মুর্যাসল, ক্যাফেটারিয়া, আলোকোজ্জ্বল ঝর্ণা ও বিস্তীর্ন উন্মুক্ত প্রান্তর সবকিছু মিলে একটি চমৎকার দৃষ্টি নন্দন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।