আগুন-সন্ত্রাস দুটোই বিএনপির সৃষ্টি: কাদের
আগুন ও সন্ত্রাস- দুটোই বিএনপি সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার বিকেলে মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল আজ ঘন ঘন আগুনের কথা বলেন। এই আগুন ও সন্ত্রাস- দুটোই তারা সৃষ্টি করেছেন। আমাদের সন্দেহ, দেশে এখন আগুন নিয়ে যে নাশকতা হচ্ছে, সে নাশকতার সঙ্গে বিএনপি যুক্ত। কারণ আগুন নিয়ে যারা নাশকতা করছে তাদের অতীতের ইতিহাস আগুন-সন্ত্রাস। এই ইতিহাস এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি।
সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিএনপি এই রমজানে ৩৬৫টি কর্মসূচি দিয়েছে। বিভিন্ন থানায় রাস্তা বন্ধ করে, অবরোধ করে, রমজানে মানুষকে কষ্ট দিয়ে যে রাজনীতি করছে, তা গণবিরোধী রাজনীতি। সেই রাজনীতি মানুষের রাজনীতি নয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এটাই তাদের রাজনীতি। যারা এই দেশে আগুন সন্ত্রাস করে, সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত, সবার কাছে পরিচিত, সেই বিএনপি এখন আগুনের কথা বলে।
সরকারের পদত্যাগ করে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার যদি পদত্যাগ করে তাহলে সংলাপ করবে কে? এ প্রশ্নের উত্তর মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে জানতে চাই। এ রকম উদ্ভট, আবোল-তাবোল কথা বলছে বিএনপি। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসে না। ভাটার টান এসে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫২ দল শুনেছি, এখন পাঁচ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও বিএনপির শরিকদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোথায় ২৭ দফা? রাষ্ট্র নাকি মেরামত করবে? এই রাষ্ট্র মেরামত করেছেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র যারা ধ্বংস করে তারা মেরামত করতে পারে না।
তিনি বলেন, কত নালিশ, কূটনীতিকদের পাড়ায় পাড়ায় বিএনপি নেতাদের পদচারণা। জাতিসংঘের কাছে নালিশ দেবে! জাতিসংঘের এটা কাজ নয়, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা। এর আগে মির্জা ফখরুল জাতিসংঘের দুয়ারে ঘুরেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে পায়নি, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে খালি হাতে ফিরেছে। যাদের কাছে নালিশ করবে তাদের হাতে সালিশ করার ক্ষমতা নেই। লজ্জা শরম থাকলে আন্দোলনের কথা মুখে বলবেন না।
দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে সুবিধাভোগীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।