ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার।।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল পৌরসভা এলাকায় জোরদার হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে কঠোর নজরদারী ও নিরাপত্তা বেষ্টনী।
গত শনিবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারী) রাত পৌনে ১২ টা থেকে পৌরসভার প্রদান প্রদান সড়ক গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায়।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কা তুলে ধরা হয়, এরজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সম্ভাব্য সব স্থানে তারা নজরদারি বাড়িয়েছেন। নির্বাচনকে ঘিরে যে কোনও ধরনের সংঘাত ও সহিংসতা ঘটলে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
- বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা, শঙ্কায় সাধারণ ভোটাররা।।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছরের মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ, আটক ১ জন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, সুষ্টু নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে।
পৌর নির্বাচনে ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকি ১১টি ওয়ার্ডে মুখোমুখি অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলররা।
আজকের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৭৭ প্রার্থী, এরমধ্যে মেয়র পদে ৬ জন এবং কাউন্সিলর সাধারন ওয়ার্ডে ৫৬ জন এবং সংরক্ষিত ৪টি ওয়ার্ডে ১৫ জন নারী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
পৌর এলাকায় মোট ভোটার হল ১ লাখ ২০ হাজার ৫০৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৯ হাজার ৫৬২জন, মহিলা ভোটার ৬০ হাজার ৯৪২ জন। ৪৮টি ভোট কেন্দ্রের ৩৩৯ ভোট কক্ষে ভোট দেবেন তারা।
“পৌরসভার ৪৮ টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য দ্বায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য এবং সাদা পোষাকের সদস্য রয়েছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহিছ উদ্দিন বলেন, আগামীকাল জেলা শহরের বাসিন্দাদের আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনসহ পুলিশ সদস্যরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার যে ঘটনা ঘটতে পারে সেই বিষয়ে আমরা কঠোর নজরদারি শুরু করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা কাজ শুরু করেছে।
সকল ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পৌরসভার ৪৮ টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য দ্বায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য এবং সাদা পোষাকের সদস্য রয়েছে। এছাড়া ৪৩২ জন আনসার সদস্য, ৪৮ জন গ্রাম পুলিশ, ২৪০ জন বিজিবি সদস্য, ও র্যাবের ২৭ জন সদস্য দ্বায়িত্ব পালন করবেন।
সার্বক নিরাপত্তার লক্ষ্যে পুলিশের ১৬টি মোবাইল টিম, ১২ টি স্ট্রাইকিং টিম, ৭ টি স্ট্যান্ডবাই টিম, ১২টি চেকপোস্ট ও দুইটি নৌটিম বিভক্ত হয়ে কাজ করবে। এছাড়াও মোট ২৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনে দ্বায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠু, সুন্দর, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে মাঠে কাজ করে যাবে বলে এমন দাবি করেছে তিনি।