দেশে বিচার ব্যবস্থার যত উন্নয়ন সব আওয়ামী লীগের সময়েই: প্রধানমন্ত্রী
বিচার ব্যবস্থার যত উন্নয়ন সব আওয়ামী লীগের সময়েই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এনেক্স ভবন করে বিচারক বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রত্যেকটা জেলা আদালত থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যত ডেভেলপমেন্ট হয়েছে সবই আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হয়েছে। এটা আমরাই করেছি; আর কেউ করেনি। আর বিএনপির সময় কী হয়েছে? ৬৩টি জেলায় আদালতে বোমা বর্ষণ হয়েছে। দুই জন জেলা জজ মারা গেছেন, কয়েকজন আহত হয়েছেন। এত শান্তিপূর্ণ (!) অবস্থায় তারা (বিএনপি) রেখেছিল। এখন তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় বিচার ব্যবস্থা, বিচারক নিয়োগ ইত্যাদি।
জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনে আজ শনিবার এ দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েও বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থার যত উন্নয়ন সব আওয়ামী লীগের সময় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সরকারের সময় এক ছাত্রদল নেতার ঘাড়ে হাত রেখে আলোচনা করে বিচারপতির রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও ভোট চুরির সুযোগ তৈরির জন্য প্রধান বিচারপতির মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার বিষয়টিও করেছিল বিএনপি।
জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিচার ব্যবস্থা নিয়ে এখানে (জাতীয় সংসদে) বেশ কিছু কথা বলা হয়েছে। এখানে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিরোধী দলের উপনেতা কিছু কথা বলেছেন। আমি একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-বাংলাদেশের বিচারপতি নিয়োগের যে নমুনা ছিল সেই নমুনা যদি আপনারা একটু স্মরণ করেন, প্রধান বিচারপতি কামাল হোসেন তিনি এজলাসে বসে আছেন, কিন্তু তিনি জানেন না তিনি (ওই পদে) নাই। তখন আপনার বড় ভাই তখন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির এক কলমের খোঁচায় বিচারপতি নাই। প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসে আছেন-তখন তাকে বলা হলো-আপনি তো নাই। রাত্রিবেলায় আপনাকে বিদায় দেওয়া হয়েছে। এই হলো অবস্থা। তারপরে একজনকে দিলেন জাস্টিস মুনিম (বিচারপতি ফজলে কাদেরী মোহাম্মদ আবদুল মুনিম)। তিনিও বসতে পারেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি আমি বিএনপি ও এরশাদের আমলের কাহিনী বলতে যাই অনেক সময় লেগে যাবে। করোনা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, দেশে ৮০ ভাগ মানুষকে বিনামূল্যে করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।