ছাত্রকে প্রস্রাব খাওয়ালেন শিক্ষিকা
এক ছাত্রকে প্রসাব খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার চকচান্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোছা. শাহানা বেগমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে
আর এ বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। নির্যাতনের শিকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির জানায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রস্রাবখানায় অনেকে প্রস্রাবের জন্য অপেক্ষমাণ দেখে আমি স্কুলের ছাদে প্রস্রাব করি। আর এই কারণে ম্যাডাম আমাকে অনেক মারধর ও আমার হাতে একটা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বলেন যে, ‘এখানে প্রস্রাব কর, আমি ভয়ে ভয়ে প্রস্রাব করি। তারপর বলেন, এখন তুই এই প্রস্রাব খা, না খেলে আরও মারবো। আমি ভয়ে প্রস্রাব খেয়ে বাসায় গিয়ে বাবা, মা-কে পুরো ঘটনা বলে দেই।’
সাব্বিরের মা সাবিনা আক্তার জানান, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে অভিভাবকদের জানাবে, না জানিয়ে সহকারী শিক্ষক শাহানা ম্যাডাম অন্যায়ভাবে আমার ছেলেকে মেরেছে ও প্রস্রাব খাওয়াইছে। তাহলে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা কোথায়?’ তিনি তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষিকার অপসারণ দাবি করেন।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোছা. শাহানা বেগম জানান, ‘আমি রাগ করে বলেছি যে, তুমি ছাদ থেকে কেন প্রস্রাব করলে, এখন তুমি এই প্রসাব খাও। কিন্তু নিজে হাতে খাওয়াইনি বলে অস্বীকার করেন।’
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এরশাদ আলী (ডলার) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি ঘটনার সময় ছিলেন না। অফিসে বিশেষ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরে সহকারী শিক্ষিকা তানজিলার মুখ থেকে বিস্তারিত শুনেছেন এবং ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
ধামইরহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আজমল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুরো ঘটনা শুনেছি। খুবই দুঃখজনক বিষয়। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।