ইসরাইলকে বাঁচাতে আইসিসির বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে হাঙেরি-জার্মানি
অধিকৃত পশ্চিমতীর ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধের বিচার করার অধিকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রয়েছে বলে সম্প্রতি রুলিং একটি দেওয়ার ঘুম হারাম হয়ে গেছে ইহুদিবাদী দেশটির প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে রাত-দিন শলা-পরামর্শ করে যাচ্ছেন তিনি। নিয়োগ করেছেন আন্তর্জাতিক লবিস্টও। ইউরোপের দুই দেশ হাঙেরি ও জার্মানি প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
এ ব্যাপারে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এ ধরনের বিচার পেতে হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে অভিযোগ করতে হয়। ফিলিস্তিনের সেই স্ট্যাটাস না থাকায় আইসিসি ফিলিস্তিনি নির্যাতনের বিচার করতে পারে না। একইভাবে হাঙেরিও আইসিসির রুলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিমত প্রকাশ করেছে।
এদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলি ফাতৌ বেনসুদার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিন নেতারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২০১৪ সালে ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের সময় যুদ্ধাপরাধের তদন্তে সুযোগ করে দিয়েছে আইসিসির একটি রুলিং।
৫০ দিনের ওই যুদ্ধে ফিলিস্তিনের উপকূলীয় ছিটমহলটি বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয়েছিল। দুই হাজার ২৫১ ফিলিস্তিনি ইসরাইলি হামলায় নিহত হন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এ নিয়ে আইসিসির তদন্ত চলছে, অনেক সমালোচনামূলক প্রতিবেদনও হয়েছে।
এর আগে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে যুদ্ধাপরাধ অভিযোগ তদন্তে অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ফাতৌ বেনসুদা। বলেছিলেন, সেখানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা ‘বিশ্বাস করার যৌক্তিক ভিত্তি’ রয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আইসিসির এই রুলিংয়ের কড়া সমালোচনা করেছেন; অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা একে স্বাগত জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আশতিয়াহ বলেন, এই সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচার ও মানবতার জয়।
ইসরাইল আইসিসির সদস্য নয়। তারা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এখতিয়ারের রুলিংও প্রত্যাখ্যান করেছে। আইসিসিকে রাজনৈতিক সংস্থা অ্যাখ্যা দিয়ে এর বিচার থেকে নিজেদের নাগরিক ও সেনাদের সুরক্ষা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তেলআবিব।