মেসির শেষ বিশ্বকাপের শুরুতেই অঘটন। নড়বড়ে রক্ষণ, দ্বিতীয়ার্ধে ম্য়াড়ম্যাড়ে মেসি, বড় বেশি মেসি নির্ভরতা, আক্রমণের ঝাঁজ কম, টিম গেমের অভাব- সব মিলিয়েই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারল আর্জেন্তিনা। তাও সৌদি আরবের কাছে। নিঃসন্দেহে শুরুতেই বড় ঝটকা খেল মেসির দল।
২০১৯ সালের শুরু থেকে এত দিন ৩৬ ম্যাচে হারের মুখ দেখেনি আর্জেন্তিনা। মঙ্গলবারের আগে শেষ পাঁচ ম্যাচে তারা কোনও গোলও খায়নি।
ম্যাচের তিন মিনিটের মধ্যেই নিজের দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু তার বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত শট অসাধারণ রিফ্লেক্স দেখিয়ে বাঁচিয়ে দেন সৌদি আরবের গোলরক্ষক মহম্মদ আলওয়াইস। তারপর ম্যাচের ১০ মিনিটে একটি সেট পিস ডেলিভারীর সময় আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার প্যারাদেশকে বক্সের ভেতর জাপটে ধরেন আল বুলাইয়াহি। ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষককে উল্টো দিকে ফেলে পেনাল্টি থেকে গোল করে যান লিওনেল মেসি। তারপর প্রথমার্ধে আরও তিনবার সৌদি আরবের জালে বল জড়িয়ে ছিল মেসি ও লাউতারো মার্টিনেজ। কিন্তু তিন ক্ষেত্রেই অফসাইডের জন্য সেই গোলগুলি বাতিল হয়।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটে অঘটন। ৪৯ মিনিট নাগাদ আল বুরকীয়ানের পাস ধরে নিখুঁত ফিনিশে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজকে পরাস্ত করেন আল সেফারী। আর চার মিনিটের মধ্যেই আর্জেন্টিনা ডিফেন্সকে এত ব্যস্ত করে তুলে অসাধারণ শটে লিড এনে দেন আল দাওসারি। সৌদি আরবের নাম্বার ১০-এর এই গোলের পর স্টেডিয়ামে যেন স্টেডিয়ামে উল্লাসের জোয়ার বয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সমর্থকদের মধ্যে।
এরপর আর্জেন্টিনা তেড়ে-ফুঁড়ে আক্রমণে ওঠে। ঘুমিয়ে পড়ার নীল সাদা ব্রিগেড যেন অঘটনের ইঙ্গিত পায়। একের পর এক সেভ করতে হতে থাকে। এভাবে সময়ও গড়িয়ে যেতে থাকে। পরিবর্ত সময়ে হিসেবে নামা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজের শট গোল লাইন থেকে বাঁচান আরবের ডিফেন্ডার। এর মাঝে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সৌদি আরবের সাইড ব্যাক আল সাহারানিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন লাভ হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে ১৪ মিনিট অবধি খেলা গড়ালেও লিওনেল মেসিদের দুর্দান্ত দক্ষতার সাথে আমি এ চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় গঠনটি ঘটিয়ে দিল সৌদি আরব। মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামার আগে বেশ কিছুটা চাপে পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।