২৪ ঘণ্টা যেতে পারেনি ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি: তৈমুর আলম
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার মন্তব্য করেছেন যে, ২৪ ঘণ্টা যেতে পারেনি ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি। তিনি বন্দরের ১৯ ও ২০নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এ মন্তব্য করেন।
সেখানে শান্তিনগর, লক্ষ্যারচর, মদনগঞ্জ বাজার, সোনাকান্দা, মাহামুদনগর, বেপারীপাড়া, ফরাজিকান্দা, দরি সোনাকান্দাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভোট প্রার্থনা করেন। এসময় তৈমুরকে পেয়ে এলাকার লোকজন রাস্তায় নেমে আসেন, ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগকালে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ‘ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি’ হুঙ্কার দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হয়রানি শুরু হয়েছে।
আর ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে আমি অবহিত করেছি। নির্বাচন কমিশন আমাকে লেভেল প্লেইং ফিল্ড ব্যবহার করার সুযোগ দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি বারবারই অভিযোগ করে আসছি, সরকারি দল, এমপি এবং তাদের বড় বড় নেতা নির্বাচনে প্রভাব পড়ে এমন উসকানিমূলক ও ভয়-ভীতিমূলক কথা বলে যাচ্ছেন।
একজন বলেছেন, তৈমুরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। আরেকজন অতি সম্মানিত দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেছেন, তৈমুর ঘুঘু দেখেছেন, ফাঁদ দেখেননি। তার এ কথার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু এবং ঘুঘুর ফাঁদ দেখতে শুরু করেছি।
তার আগে মঙ্গলবার সকালে নগরের মিশনপাড়া এলাকায় প্রধান নির্বাচনী কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে তৈমুর আলম। সেখানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে দেশ ও বিদেশের সব মিডিয়া তাকিয়ে আছে। মিডিয়ার কল্যাণে এসব কথাবার্তা শুধু নারায়ণগঞ্জের মানুষ শোনে না, বিশ্বব্যাপী মানুষ শোনে। বাইরে কোথাও গেলেই নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে অনেক কথা উঠে যায়।
তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, আমার মনে হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় যে হেফাজতের লোকেরা প্রধানমন্ত্রী কওমি জননী উপাধি দিয়েছিলেন, সেই হেফাজতের সঙ্গে গোলযোগের মামলায় আমার জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মনিরুল ইসলাম রবি আমার সিদ্ধিরগঞ্জের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান। গত ২৪ ঘণ্টায় আমার প্রায় ১৭ জন নেতাকর্মীকে কোনো মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটাকে ভোটের আগেই নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সোমবার এসপি অফিসে গিয়েছিলাম তাকে পাইনি। আজকে গিয়ে বলব আমার কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আপনার অফিসের সামনে বসে পড়ব। এখান থেকেই আমি আমার নির্বাচন পরিচালনা করব।
গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে তৈমুর বলেন, আমি শঙ্কিত হব না কেন। নেতাকর্মীদের বাড়িতে যখন পুলিশ হামলা করে। এজেন্টকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায় হেফাজতের মামলায়, তখন তো শঙ্কা সৃষ্টি হবেই।
সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর আলমের উকিল মেয়ে রেশমী অভিযোগ করে বলেন, তৈমুর আলমের হাতি প্রতীকে কাজ করায় সোমবার গভীর রাতে ২২নং ওয়ার্ড থেকে আমার স্বামী আশরাফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।