ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফিল্মি স্টাইলে স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণ, আটক ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে এক তরুণীকে (১৭) ফিল্মি স্টাইলে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অপহরণের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
অপহরণ হওয়া ওই তরুণীকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ।
এছাড়া অপহরণের সাথে জড়িত থাকায় কাউসার মিয়া (৩২) নামের এক যুবকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে ওই তরুণী বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
সদর মডেল থানা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অপহরণ হওয়া ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে। সে ওই গ্রামের একটি স্কুলের ১০ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করেন। ওই তরুণীর পরিবার জেলা শহরের মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন। স্কুলে পড়ায় স্কুলে যাওয়া আসার সময় দীর্ঘদিন যাবত ওই তরুণীকে বিয়ে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল মৈন্দ গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫)। কিন্তু এতে ওই তরুণী রাজি হয়নি। এরমধ্যে করোনার মহামারীতে স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে।
সম্প্রতি স্কুল পুনরায় খোলা হলে আবারও জসিম ওই কিশোরীকে বিয়ের জন্য উত্তপ্ত করা শুরু করেন। গত ৯ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে ওই তরুণী জেলা শহরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর একটি যুবক তার পিছু নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর সামনে একটি প্রাইভেটকার তাকে গতিরোধ করলে পেছনে ধাক্কা দিয়ে ওই তরুণীকে প্রাইভেটকারটিতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
একই দিন রাতে ওই তরুণী তার বাসায় নিজে নিজেই ফিরে আসে। এসময় সে তার পরিবারকে জানায়, প্রাইভেটকারে করে অপহরণের পর সদর উপজেলার সুহিলপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেদিন রাতেই ওই তরুণীর মা সদর মডেল থানায় এসে ঘটনাটি জানিয়ে একটি অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে আটক করতে অভিযান চালায় সদর মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল রোববার (১০ অক্টোবর) রাতে অপহরণে জড়িত থাকায় জসিমের বড় ভাই কাউসার মিয়াকে আটক করে পুলিশ। সোমবার সকালে এই ঘটনায় ওই তরুণীর মায়ের করা একটি মামলা রুজু করে পুলিশ।
এই বিষয়ে সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) সোহরাব আল হোসাইন সত্য সমাচারকে জানান, এই ঘটনায় ওই তরুণীর মা বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরই মধ্যে একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে তথ্য উদ্ধার করতে রিমান্ড আবেদন করা হবে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।