ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৫৬
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জন। দেশটির সুলায়েসি দ্বীপে রোববার (১৭ জানুয়ারি) থেকে আরো জোরে উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
এই উদ্ধার অভিযানের মধ্যেই আরো কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, ধ্বংসস্তুপের নিচে আরো কেউ আটকা পড়ে থাকতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
উক্ত ভূমিকম্পের ভয়াবহ আঘাতে অন্তত ৮২০ জনের অধিক লোক আহত হয়েছেন বলে আশংকা করা হচ্ছে। গৃহহারা হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ।
এখানে উল্লেখ যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ভোরে সুলাওসি দ্বীপে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৬ দশমিক ২। ভূমিকম্পের পর কয়েক হাজার মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানায়, ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের একদিন পর পশ্চিম সুলায়েসি জেলা এবং মামুজু ও মাজিনে এলাকায় ৫ মাত্রার পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। তবে এ থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ভূ-প্রকৃতির এজেন্সি প্রধান দ্বিকোরিতা কর্নাবতী জানান, রোববার সকাল পর্যন্ত ৫৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।
এই ভূমিকম্পে একটি হাসপাতাল ধসে পড়েছে। ওই হাসপাতালে ১২ জনের বেশি চিকিৎসক এবং নার্স ছিলেন। তারা ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কমপক্ষে একটি হোটেল আংশিক ভেঙে পড়েছে।
আরো পড়ুন:
- সুপার পাওয়ার হওয়ার পথে তুরস্ক
- অপেক্ষমান তালিকা থেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি শুরু ২১ জানুয়ারি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমিকার বাসায় গিয়ে প্রেমিকের আত্নহত্যার অভিযোগ
- শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফয়সালের ২টি কিডনি নষ্ট, বাঁচার আকুতি
- মানবতার জয়তো এইভাবেই হয়
শুক্রবারের ওই শক্তিশালী ভূমিকম্পে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আরো প্রায় ৮২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
ভূমিকম্পে মামুজু শহরের বিমানবন্দরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রেড ক্রস জানায়, তারা ঘটনাস্থলে ওষুধ এবং ত্রাণ সরবরাহ করতে গিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তাদের বেশ কয়েকটি টিম ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া লোকজনকে খুঁজে বের করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
শুক্রবার মামুজু থেকে ৩৬ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিলো ১৮ কিলোমিটার। প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে থাকে।