কৃষ্ণাঙ্গদের বানরের সঙ্গে তুলনা
কৃষ্ণাঙ্গদের বানরসদৃশ প্রাণীর সঙ্গে তুলনার অভিযোগ আসার পর ‘টপিক রিকমেন্ডেশন ফিচারটি’ তুলে নিয়েছে ফেসবুক। ফেসবুকের মুখপাত্র ড্যানি লিভার শুক্রবার এএফপিকে বলেন, ‘স্পষ্টতই এই ভুলটি অগ্রহণযোগ্য। ইতোমধ্যে রিকমেন্ডেশন ফিচারটি নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।’
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ২০ জুন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য ডেইলি মেইলের ফেইসবুক পেইজ থেকে আসা সেই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কৃষ্ণাঙ্গ শ্বেতাঙ্গ নাগরিক ও ব্রিটেন পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করছেন। ওই ঘটনার খণ্ডাংশ ফেসবুকে পোস্ট করে বলা হয়, ‘বানরের মতো প্রাণীদের দেখতে হলে ভিডিওটি দেখতে থাকুন।’ এ নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বড় অংশ ক্ষোভ জানাতে শুরু করে। ওই ঘটনার পর এক বছরের অনুসন্ধান শেষে ফেসবুক জানাল, তারা এবার সেই ফিচারটিই তুলে নিচ্ছে।
ফেসবুকের সাবেক কনটেন্ট ডিজাইন ম্যানেজার ডারসি গ্রোভস এমন কাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে টুইট করেন। তিনি তার টুইটে বলেন যে, ‘এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, মারাত্মক ভুল এটা।’ ফেসবুকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা নিশ্চয়ই এর কারণ খুঁজে বের করব। এই আক্রমণাত্মক ফিচারটি যারা ইতোমধ্যে দেখেছেন তাদের সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য সচেষ্ট থাকব।’
ফেসবুকের মুখাবয়ব চিহ্নিত করার প্রযুক্তি (ফেসিয়াল রিকগনিশন) সফটওয়্যারটি নিয়ে ইতোমধ্যে অধিকারবিষয়ক আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন। গুগল, ফেসবুকের মতো আরও বেশকয়েকটি টেক জায়ান্ট সম্প্রতি ‘ফেসিয়াল রিকগনিকশন’ সফটওয়্যারটি নিয়ে গবেষণা করছে।
মুখাবয়ব চিহ্নিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স) প্রযুক্তি দিয়ে কৃষ্ণাঙ্গদের চিহ্নিত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এজন্য কৃষ্ণাঙ্গদের প্রায়ই সামাজিক ও আইনি বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।