জাপানের জলসীমায় ফের চীনা জাহাজ
সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের কাছে জাপানের আঞ্চলিক জলসীমায় চীনের দুটি টহল জাহাজ আবারো অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী।
জানা গেছে যে, গত ২৮ আগস্ট এ অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। কিয়োডো সংবাদ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমে জাপানের আঞ্চলিক জলসীমার সীমান্তবর্তী এলাকায় মোট চারটি জাহাজ দেখা গেছে।
তারপর, দুটি জাহাজ জলসীমায় প্রবেশ করে এবং একটি জাপানি মাছ ধরার জাহাজের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। যেসব জাহাজ সমুদ্রসীমা অতিক্রম করেনি তাদের মধ্যে একটিতে স্বয়ংক্রিয় কামান থাকতে দেখা গেছে। জাপানি সম্প্রচার মাধ্যমের তথ্য মতে, চলতি বছরে ৩২তম বার চীনা জাহাজ জাপানের আঞ্চলিক জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিতর্কিত এই অঞ্চলে বেইজিংয়ের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টোকিও, বিশেষ করে বিতর্কিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের বিষয়ে, যা চীনে দিয়াওউদাও দ্বীপপুঞ্জ নামে পরিচিত। টোকিও ১৯৮৫ সাল থেকে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে। তবে বেইজিংয়ের যুক্তি ১৭৮৩ এবং ১৭৮৫ সালে বিকশিত জাপানের মানচিত্রে দ্বীপগুলি চীনা অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সালে জাপানের কাছে হস্তান্তর না করা পর্যন্ত দ্বীপগুলি নিয়ন্ত্রণ করে। জাপান সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করলেও চীন এবং তাইওয়ানও একে তাদের নিজস্ব জলসীমা বলে দাবি করে আসছে। তবে ঐতিহাসিকভাবে এবং আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ওই দ্বীপপুঞ্জে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে টোকিও।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে সেখানে সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে বেইজিং। তবে জাপান, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামও সেই জলসীমাকে নিজেদের টেরিটরি বলে দাবি করেছে।
এই দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে করে আসলেও সম্প্রতি এই অঞ্চলে চীনের আগ্রাসন বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তেজনা বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ নিয়ে চীনের সঙ্গে বড় ধরনের সংঘাতে জড়াতে পারে এসব দেশ।