পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে সরকারি প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, এর কোন প্রকার ব্যত্যয় প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি আরো বলেন, দেশের পর্যটন গন্তব্যসমূহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পর্যটকদের উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
পর্যটকদের সচেতন করতে স্থানীয় প্রশাসন এর সাথে জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট সহ অন্যান্য অংশীজনগণকে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট সঠিকভাবে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
মো. মাহবুব আলী এমপি বলেন, জীবিকা ও অর্থনীতির কথা চিন্তা করে পর্যটন গন্তব্যসমূহ খুলে দেয়া হয়েছে। এতে কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছে। এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে আবার এই খাত বন্ধ হয়ে যায়।
মাহবুব আলী এমপি আরো বলেন, হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট গুলো সরকারের নির্দেশনা সঠিকভাবে পরিপালন করছে কিনা স্থানীয় প্রশাসন সেটি শক্তভাবে মনিটরিং করবে।
আলোচনা শেষে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট গুলি সরকারের বিধি উপেক্ষা করে ৫০ শতাংশের বেশি আবাসনের ব্যবস্থা করছে কিনা তা নিয়মিত মনিটরিং, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পরিবীক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতাউর রহমান, টোয়াব সভাপতি, টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট, কিশোরগঞ্জ, সিলেট ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকগণ। পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ সভায় যুক্ত ছিলেন।