তোমাদের বর্তমানের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করো
তোমাদের বর্তমানের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করো।জনপ্রিয় খেলোয়াড় ও সাংসদ মাশরাফির তার সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক। একথা নিজেই অনেকবার বলেছেন তিনি। একমাত্র ছেলে সাহিল এবং মেয়ে হুমায়ারার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোর ছবি মাঝেমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি।
কিছু দিন পূর্বে দুই সন্তানের সঙ্গে একটি ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন সাবেক অধিনায়ক ম্যাশ। তবে তার পোস্টের ছবির সঙ্গে লেখা কথাগুলো একেবারেই আলাদা।
মূলত পুরো পোস্টেই নিজের সন্তানদের উপদেশ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। পোস্টে তিনি লিখেছেন, অতীত যতোই কঠিন বা মসৃণ হোক আবেগাক্রান্ত হয়ো না তা নিয়ে, এমন কি ভবিষ্যৎ নিয়েও তোমরা কিছু ভেবো না বরং তোমাদের বর্তমানের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করো। কারণ, বর্তমানই তোমার ভবিষ্যৎ।
মাশরাফি বিন মুর্তজা আরও লেখেন, বাবা হিসাবে এতোটুকুই চাইবো স্কুল, কলেজ, পাসপোর্ট বা আরও কিছু প্রয়োজনীয় জায়গা ছাড়া বাবার নাম নিও না। কারণ তোমাদের সাবলম্বী করতে সম্ভাব্য যা কিছু প্রয়োজন তা তোমাদের বাবা- মা চেষ্টা করছে। বাকি জীবনটা নিজেদের মতো সাজিও নিও। অবশ্যই চাইবো সেটা যেন সঠিক পথে হয়। হৃদয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ হৃদয়ের গল্প জিতবে সেই আশাই করি। আল্লাহ তোমাদের সহায় হোন।
এদিকে উইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের প্রাথমিক দলেও রাখা হয়নি মাশরাফীকে। এর আগে ২০১১ সালে ফিটনেস সমস্যার কারণে বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি তিনি। আর এবার ফিট থেকেও ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো বাদ পড়লেন ম্যাশ।
তারও আগে, ২০১৯ বিশ্বকাপে দলের বিপর্যয় আর নিজের নিদারুণ ব্যর্থতায় প্রেক্ষাপট অনেকটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তারপরও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে স্বেচ্ছায় নিজেকে সরিয়ে নেওয়া, জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে অধিনায়কত্বকে বিদায় জানানো, সবই ছিল ক্রিকেটার হিসেবে দলে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ের অংশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দল ঘোষণার আগে বঙ্গবন্ধু টি ২০ কাপ ছিল নিজেকে তুলে ধরার একটি সুযোগ। সেই আসরের চার ম্যাচের তিনটিতেই পারফরম্যান্স ভালো ছিল মাশরাফীর। একটিতে ৫ উইকেট নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন ম্যাচের নায়ক। কিন্তু তাতেও মন গলেনি নির্বাচকদের।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু মাশরাফীকে বাদ দেয়ার ব্যাখ্যায় বলেছেন, দলকে নতুনভাবে গুছিয়ে সামনে এগোতে ও ২০২৩ বিশ্বকাপে চোখ রেখে নির্বাচক কমিটি, টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তার বাদ পড়া নিয়ে গণমাধ্যমকে মাশরাফী বলেন, এটা পেশাদার জগৎ। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি পেশাদারিভাবেই নিচ্ছি এটাকে। আর কিছু বলার নেই। আগেও বলেছিলাম, জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও খেলা চালিয়ে যাব। এখনও সেটিই বলছি।
এছাড়া আপাতত আর কিছু ভাবছি না। আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেট শুরুর অপেক্ষায় থাকতে হবে বাংলাদেশের সফলতম এই ওয়ানডে অধিনায়ক এবং নড়াইল-২ আসনের এ সংসদ সদস্যের। দেখা যাক ভবিষ্যতে কি হয় তার খেলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের।
আরো পড়ুন: