১৯ দিন পর আজ থেকে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশ
জীবন-জীবিকার বাস্তবতায় এর মধ্যেই কর্মচাঞ্চল্যপূর্ণ স্বাভাবিক যাত্রায় ফিরছে দেশ। তবে সব ক্ষেত্রেই কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। থাকতে হবে সচেতন, সতর্ক।
সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খুলছে আজ। যদিও করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি নেই। আজ থেকেই বিপণিবিতান-দোকানপাটও খুলছে। কর্মস্থলে যোগ দিতে, গত রাতেও ঢাকায় ফিরেছেন অনেকে।
গণপরিবহনের ক্ষেত্রে নিয়ম পাল্টেছে। কোনো এলাকার মোট পরিবহনের অর্ধেক একদিন রাস্তায় নামবে, বাকি অর্ধেক নামবে অন্যদিন। যাত্রী নেওয়া যাবে সব আসনেই। একইভাবে চলবে ট্রেনও। তবে, স্বাস্থ্যবিধিতে যেন শিথিল না হয়; তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
সরকারের ওপর মহামারি থাকলেও মানুষের জীবিকা রক্ষা ও অর্থনীতির কর্মকাণ্ড সচল রাখার তাগিদ রয়েছে। সংকটে পরা বিভিন্ন পেশার মানুষও আর মানতে চাচ্ছে না বিধিনিষেধ। তাই জীবিকা ও অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে আপাতত লকডাউন থেকে সরে এসেছে সরকার।
সামগ্রিক বাস্তবতার নিরিখে টানা ১৯ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের সমাপ্তি টানতে হচ্ছে সরকারকে। মাস্ক পরাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে চাইছে সরকার।
দেশের পরিস্থিতি করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণে এখনো ভয়াবহ। এর পরও সামগ্রিক বাস্তবতার নিরিখে টানা ১৯ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের সমাপ্তি টানতে হচ্ছে সরকারকে। এর আগে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করেই কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ১৫ থেকে ২২ জুলাই ৯ দিন লকডাউন শিথিল করা হয়।
ঈদের একদিন পর ২৩ জুলাই থেকে ফের লকডাউন শুরু হয়। এর মধ্যেই একদিনের ঘোষণায় ১ আগস্ট থেকে শিল্পকারখানা খুলে দেয় সরকার। পরিবহন বন্ধ থাকায় ফিরতে পথে শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগে সমালোচনার মুখে দেড় দিনের জন্য বাস ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।