মালয়েশিয়া হাইকমিশন পাসপোর্ট সংক্রান্ত জরুরী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলো
মালয়েশিয়া জুড়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলমান ন্যাশনাল রিকভারি প্ল্যানের প্রথম ধাপের লকডাউনের মধ্যেও চলমান রয়েছে দেশটিতে থাকা অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া।
অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বৈধকরণ এ প্রক্রিয়া চলবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এই প্রক্রিয়ায় বৈধ হতে আবেদনকৃত নতুন পাসপোর্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে কয়েকগুণ।
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাসপোর্ট পেতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। মালয়েশিয়া প্রবাসীদের অভিযোগ, আবেদনের পর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পাসপোর্ট। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন ৪ থেকে ৫ মাস হয়ে গেলেও পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন না।
একদিকে চলমান মহামারি করোনায় আইনি জটিলতায় কর্মহীন প্রবাসীরা, অন্যদিকে সময়মত পাসপোর্ট না পাওয়ায় ভিসা নবায়ন থেকে শুরু করে নতুন করে অবৈধদের বৈধ হওয়ার সুযোগে অংশ নিতে দেখা দিয়েছে জটিলতা। প্রবাসীদের পাসপোর্ট সরবরাহ সচল রাখার প্রয়াসে এই বৈশ্বিক মহামারিতেও করোনা স্বাস্থ্যবিধি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) মেনে কাজ করছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখার কর্মকর্তারা।
২০২০ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত তারা সর্বমোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩২টি পাসপোর্ট বিতরণ করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৭ আগস্ট) মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করতে মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন। এই মহামারিকালেও হাইকমিশন প্রবাসীদের সুবিধার্থে ৩৬টি পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে পাসপোর্ট বিতরণ করে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি পাসপোর্ট ডেলিভারি কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে দৈনিক এপয়েন্টমেন্ট সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ২৮ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত প্রাপ্ত এপয়েন্টমেন্টের বিপরীতে সব পাসপোর্ট নির্ধারিত পোস্ট অফিসে পাঠানো হয়েছে।
আবেদনকারীদের স্ব স্ব পোস্ট অফিস থেকে দ্রুত পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভারের ধারণ ক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে প্রচুর সংখ্যক পাসপোর্ট পাইপলাইনে আটকে রয়েছে।
হাই কমিশনের আওতায় বহির্ভূত এই সাময়িক জটিলতার জন্য হাইকমিশন আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এই কারিগরি সমস্যা সমাধানের লক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রবাসীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পাসপোর্টসহ সকল ধরনের সেবা প্রদানে হাই কমিশন সব সময় বদ্ধপরিকর। এসকল সেবা দ্রুততম সময়ে নিশ্চিতকরণের জন্য হাইকমিশন সকলের সহযোগিতা কামনা করছে। এ বিধিনিষেধের মধ্যেই পাসপোর্ট কার্যক্রম সময়োপযোগী করতে অ্যানালগ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে।
সেই সাথে সহজ করা হয়েছে পাসপোর্ট বিতরণে অনলাইন বুকিং সিস্টেমসহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানের বিষয়টিও। এছাড়া এ বিপুল সংখ্যক পাসপোর্ট ঢাকা হতে এনে কম সময়ের মধ্যে ডেলিভারি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোন প্রকার দালালের প্ররোচনায় পড়ে প্রতারিত না হয়ে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাইকমিশনের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে যথাসময়ে পাসপোর্ট সেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে।