মডার্নার ও সিনোফার্মের মোট ২৩ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে
কোভ্যাক্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি মডার্নার ১২ লাখ ডোজ এবং চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ করোনা টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১১টা ১৩ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মডার্না টিকার এই চালান ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন টিকা বুঝে নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরে এক আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে বলছি, আমরা ১৩ লাখ টিকা গ্রহণ করলাম। আরও ১২ লাখ ডোজ টিকা (শনিবার) সকালে এসে পৌঁছাবে। মডার্নার ভ্যাকসিন গ্রহণ করে ভ্যাকসিন দেবার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকার সঙ্কটে দেশে গণ টিকাদান কর্মসূচিতে ছন্দপতনের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা জোরেশোরে শুরুর পরও কাঙ্ক্ষিত টিকা না পাওয়ায় তা ধরে রাখতে পারিনি। আশা করছি টিকার আর কোনো অভাব হবে না। আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে টিকা পাচ্ছি, আগামীতে আরও পাব। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা আসবে, যা ৫ কোটি মানুষকে দেওয়া যাবে।
আগামী আগস্টে ভারত থেকে অ্যাস্টেজেনেকার টিকা পাবার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন কেনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টাকা নিয়ে সমস্যা নেই।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা সবসময়ই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসাবে ছিলাম আর ভবিষ্যতেও থাকব।
এরপরই চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের বিবিআইবিপি-করভি টিকার ১১ লাখ ডোজ ঢাকায় পৌঁছেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে এই টিকা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে মডার্নার মোট ২৫ লাখ টিকা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এদিকে, চীন থেকে সিনোফার্মের ৫০ লাখ ডোজ টিকা কিনেছে সরকার। তারই ১১ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছালো।