আকাশে উড়ছে চারচাকা গাড়ি তা হলিউড সিনেমায় প্রায়ই দেখা যায়। বাস্তবে তা দেখা যায়নি এতদিন। আমরা জানি সিনেমায় তা দেখানো হত এডিটিং করে। তবে বিশ্বে প্রযুক্তি এগোচ্ছে। প্রযুক্তির হাত ধরে মিলছে সাফল্যও।
প্রযুক্তির হাত ধরেই এবার মাটিতে নয় আকাশে উড়ল চারচাকা বিশিষ্ট গাড়ি। বিদেশের মাটিতে প্রযুক্তির সাহায্যে অসম্ভবকে সম্ভব করা গেল। স্লোভাকিয়ার এক শহর থেকে আরেক শহরে আকাশ পথে পৌঁছে গেল গাড়িটি।
আর গাড়িটির নাম রাখা হয়েছে এয়ার কার। পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয় গাড়িটা। এই পরীক্ষায় সাফল্য মিলল। প্রফেসর স্টেফান ক্লেইন এবং তাঁর সহকারী অ্যান্টন জেজাকের তৈরি করা গাড়িটি সফল ভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছে গেল।
স্লোভাকিয়ার নিটরা এবং ব্রাটিস্লাভার ওই দুই বিমানবন্দরে মধ্যে এই গাড়ি উড্ডয়ন করে। এই হাইব্রিড কার-এয়ারক্রাফটের গাড়িটির মধ্যে একটি বিএমডব্লিউ ইঞ্জিন রয়েছে। এটা পেট্রোলে চলে। উড়ন্ত এই গাড়িটি তৈরি করেছেন অধ্যাপক স্টেফান ক্লেইন।
অধ্যাপক স্টেফান ক্লেইন জানান, এই গাড়িটি ৮ হাজার ২০০ ফুট উচ্চতায় প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। গাড়িটি এ পর্যন্ত ৪০ ঘণ্টা আকাশে উড়েছে। এই গাড়িটি এয়ারক্রাফটে পরিণত হতে ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড লাগে। গাড়ির দরজার সঙ্গে রয়েছে ওই সরু দুটি পাখা।
তিনি রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন করে এক শহর থেকে আরেক শহরে যান। তার আমন্ত্রিত রিপোর্টাররা এই দৃশ্য দেখেন। নিজের এই উড্ডয়নের অভিজ্ঞতাকে ‘স্বাভাবিক’ এবং ‘বেশ আনন্দদায়ক’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। আকাশে এই গাড়িটির গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছায়।
এই উড়ন্ত গাড়িতে দুই জন চড়তে পারে। আর এটা ২০০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম। তবে অন্যান্য ড্রোন-ট্যাক্সি প্রোটেটাইপের মতো এটা খাড়াখাড়িভাবে উড়তে বা অবতরণ করতে পারে না। বরং এটা উড্ডয়ন বা অবতরণ করতে রানওয়ে লাগে।