বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা l এ বছর ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের পুরোনো এই সংগঠনটি।
বুধবার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সব নেতাকর্মী ও সমর্থকরা শত প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজ অত্যন্ত মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্যই হলো দেশকে ‘সোনার বাংলাদেশ’ এবং বাঙালিদের বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার কে এম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটি। দীর্ঘ এই পথচলায় দলটির যেমন অনেক বড় বড় সফলতা রয়েছে, তেমনি কিছু ব্যর্থতাও আছে। কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বড় বড় সফলতা চাপা পড়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠার ৭২ বছরের ইতিহাসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অর্জন ঐতিহাসিক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার টানা ২১ বছর পর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ৯৬ সালে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
সরকার গঠনের পরেই পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদন করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়াও ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকে আজ পর্যন্ত শাসনভার আওয়ামী লীগের হাতেই রয়েছে।
টানা তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাটা আওয়ামী লীগের বড় কৃতিত্ব এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি রেকর্ডও বটে। এই সময়ের মধ্যে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্র বিজয়, ভারতের সাথে ঐতিহাসিক ছিটমহল বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর, মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের দৃশ্যমান অগ্রগতিসহ নানা সফলতার দিক রয়েছে।
সংগঠনটির প্রথম কমিটিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি ও শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলে থাকা অবস্থায় যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে আওয়ামী লীগ।