গ্রামের মানুষদের ইলিশ মাছ খাওয়াতে চায় সরকার:
বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, “আগামী পাঁচ বছরে ইলিশ রপ্তানি করা যৌক্তিক হবে না।” তিনি বলেন, “এখনো গ্রামের অনেক মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারে না। তাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ খাওয়ার সুযোগ করে দিতে চাই। তারপর ইলিশ রপ্তানির কথা ভাবা যাবে।”
দুহাজার বিশ সালের অক্টোবরে সরকার দুই বছরের মধ্যে এক লাখ টন ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই সে অবস্থান থেকে সরে আসার যে ইঙ্গিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর কথায় পাওয়া যাচ্ছে তাতে ধারণা করা যাচ্ছে যে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে সরকারের মধ্যে ভিন্ন মতামত রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলছেন, বাংলাদেশে ২০১০ সালে দেশীয় মাছের উৎপাদন ছিল প্রায় ৩১ লক্ষ মেট্রিক টন, যা এখন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন।
তিনি জানান, ২০১০ সালে ইলিশের উৎপাদন ছিল প্রায় তিন লক্ষ মেট্রিক টন, এখন উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৫.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন। “পরিস্থিতি এখনকার মত চললে আগামী দুই বছরের মধ্যে উৎপাদন সাত লক্ষ টনে পৌঁছাবে,” তিনি বলেন।
বাংলাদেশ এখন ইলিশ উৎপাদন এবং রপ্তানিতে বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। মন্ত্রী বলছেন, “যেভাবে উৎপাদন বেড়েছে তারপরেও দেশের সব মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারছে না। আমার মনে হয় আগে দেশের সব মানুষের কাছে ইলিশ পৌঁছাতে চাই আমরা, তার পর রপ্তানির কথা ভাবা যাবে।”