ভারতের হরিদ্বারে হিন্দুদের কুম্ভমেলায় কোভিড প্রোটোকল মানা হচ্ছে না
ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা যখন প্রায় রোজই আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে, তখন হরিদ্বারের কুম্ভ মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমে কোনও ধরনের কোভিড প্রোটোকল মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় জমায়েতে হরিদ্বারে গঙ্গার তীরে চলতি মাসে প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট লক্ষ পুণ্যার্থী জড়ো হচ্ছেন – কিন্তু সেখানে মাস্ক পরা, থার্মাল স্ক্রিনিং কিংবা কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পরীক্ষার কোনও বালাই নেই বলেই নানা রিপোর্টে বলা হচ্ছে।
কিন্তু ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ পত্রিকার একটি রিপোর্ট বলছে, এর মধ্যে রবিবার রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত মাত্র ১৮ হাজার তীর্থযাত্রীর কোভিড পরীক্ষা করানো সম্ভব হয়েছে – যার মধ্যে ১০২ জন পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
এপ্রিল মাসের পুরোটা জুড়েই হরিদ্বারে চলছে কুম্ভমেলার আয়োজন – তার মধ্যে ১২, ১৪ ও ২৭ তারিখ ‘শাহী স্নান’ বা সবচেয়ে পুণ্য দিন বলে গণ্য করা হয়। সোমবার (১২ই এপ্রিল) এই উপলক্ষে হরিদ্বারে ২৮ লক্ষেরও বেশি ভক্ত গঙ্গায় ডুব দিতে জড়ো হয়েছিলেন।
এরই মধ্যে উত্তরাখন্ড রাজ্যের পুলিশ প্রধান অশোক কুমার দাবি করেছেন, হরিদ্বারের কুম্ভমেলাকে তারা কোনও ‘সুপার স্প্রেডার ইভেন্ট’ বলে মনে করছেন না। ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকাগোষ্ঠীকে তিনি বলেন, কুম্ভমেলায় ৫৩ হাজার লোকের কোভিড পরীক্ষা করা হলেও তার মধ্যে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা শনাক্তের হার মাত্র ১.৫ শতাংশ। তা ছাড়া সমাগত ভক্তদের ৯০ শতাংশই রাতে হরিদ্বারে থাকছেন না বলেও তিনি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলীগ জামাতের যে মারকাজে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মুসুল্লী জড়ো হয়েছিলেন, সেটিকে করোনা সংক্রমণের একটি ‘সুপার স্প্রেডার’ ইভেন্ট হিসেবে সরকারি কর্মকর্তারাই চিহ্নিত করেছিলেন। খবর-বিবিসি।