ছত্তিশগড়ে মাও হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্য নিহত
ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলায় নিরাপত্তারক্ষীদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২। রোববার ১৭ জন আধাসেনা জওয়ানের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নৃশংস এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ায় বিজাপুরের পুলিশ সুপার এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার দু’হাজারের বেশি নিরাপত্তারক্ষী সুকমা ও বিজাপুরের পাঁচটি ক্যাম্প থেকে তারেমের জঙ্গলে মাওদমন অভিযানে যান। তারপরই মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এতজন নিহত হলেন।
নিহত নিরাপত্তারক্ষীরা সিআরপিএফের কোবরা জওয়ান, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড ও স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের সদস্য ছিলেন। তারেম, উসুর, পামেদ, মিনপা ও নরসাপুরম এলাকায় যৌথবাহিনী তল্লাশি চালাতে যায়। যৌথবাহিনীর টার্গেট ছিল কমান্ড্যার হিদমা। মাওবাদীদের ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের এই কমান্ড্যার মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল পুলিশের খাতায়।
সূত্রের খবর, শনিবার যৌথবাহিনীর অভিযানে হামলা চালানোর নেপথ্যে ছিল হিদমা। জানা গেছে, গেরিলা যুদ্ধের কায়দায় নিরাপত্তারক্ষীদের ঘিরে ধরে হামলা চালায় মাওবাদীরা। শনিবারের ঘটনার ১০ দিন আগেই ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে পাঁচজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ফোন করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি সিআরপিএফের ডিজিকে দ্রুত বিজাপুরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
অমিত শাহ টুইট করে জানিয়েছেন, ‘মাওবাদীদের হামলায় শহিদ নিরাপত্তরক্ষীদের বলিদানকে কুর্নিশ জানাই। দেশ তাদের এই বলিদান ভুলবে না। আমার সমবেদনা তাদের পরিজনদের প্রতি রয়েছে। আমরা শান্তি ও উন্নতির পথে বাধা শত্রুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’