নরেন্দ্র মোদির আগমন ঠেকাতে ও মাওলানা মাদানীর মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ।।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্বওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) আসর নামাজ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্বওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী সভাপতিত্বে ও মাওলানা মুকবুল হোসেনের পরিচালনা প্রধান অতিথি ছিলেন মুফতি ইসমাইল ভূঁইয়া।
আমন্ত্রিত বক্তৃতায় বক্তারা বলেন, মেহমানকে স্বাগত জানানো ইসলামের নীতি, কিন্তু রাষ্ট্র ও ইসলামের জন্য ক্ষতিকর কাউকে স্বাগত জানানো আত্মঘাতী ছাড়া অন্য কিছু নয়। আমরা ঘৃণা প্রকাশ করবো, জনগন ঘৃণা প্রকাশ অব্যাহত রাখবে, মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর মতো অহেতুক সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।
তারা আরও বলেন, সরকার যতই বাধা দিক, মোদির স্থান বাংলাদেশে হবে না, হতে দেওয়া হবে না। আগামীকাল নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আগমন করলে দেশের ১৮ কোটি মুসলমান ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে মোদির জন্য অপেক্ষায় থাকবে।
গুজরাটসহ ভারতে মুসলিম হত্যার খলনায়ক নরেন্দ মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ইসলামী দল সমূহসহ দেশবাসী প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। সরকার জনগণের মনোভাবের প্রতি সম্মান না জানিয়ে মোদিকে আমন্ত্রণ করেছে যা দেশের জন্য সুখকর হবেনা।
সমাপনী বক্তব্যে মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী বলেন, নরেন্দ্র মোদি মুসলিম বিদ্বেষী, মানবতা বিরোধী, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী, সে এবং তার দল আরআরএস বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে। এ নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমন্ত্রণ জানানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি। ফ্যাসিবাদী মোদিকে বাংলাদেশের মানুষ স্বগত জানাবে না।
জনগণের বিরোধিতা সত্ত্বেও যদি মোদি বাংলাদেশে আসে তবে যতক্ষণ বা যে কয়দিন থাকবে ততক্ষণ জনগণ যে যার অবস্থান থেকে তার প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করবে। তিনি নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে আজ সকালে মতিঝিলে যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং আটকৃত শিশু বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।
তাছাড়া এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সিরাজী, মাওলানা যুবায়ের সাইফুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল মুমিন ফোহাদ প্রমূখ।
জেলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়েছে। কোথাও কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের সময় আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রতিবাদ মিছিল শেষে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ছাত্ররা মাদ্রাসায় ফিরেছেন।