আপনি যদি এতোই পরহেজগার হন তো কনকচাঁপার পেজে কাজ কি !
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তার স্ট্যাটাসে কয়েক জনের মন্তব্যে রাগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই সব নোংরা মন্তব্যকারীদের ‘বাজে কমেন্ট’ করা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছেন তিনি।
কনকচাঁপা বিষয়টি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে তিনি সেই সব নেটিজেনদের উদ্দেশে উপদেশ দিয়েছেন, পরহেজগার হলে তার পেজে না এসে সময়টা আল্লাহর ইবাদতে কাটাতে।
মনের ক্ষোভ উগরে দেওয়া কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপার সেই স্ট্যাটাসটি আমাাদের পাঠকের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো, ‘প্রিয় ভাইবোনেরা,আসসালামুআলাইকুম। আশা করি আপনারা ভালো আছেন। এটা আমার অফিসিয়াল এবং অফিসিয়ালি ভেরিফায়েড পেজ। আমি একজন কণ্ঠশিল্পী। কণ্ঠশ্রমিক হিসেবে পরিচয় দেই।আমি আমার পরিবারের মূল্যবোধ কে সম্মান করি। আমার স্বামী একজন সঙ্গীত পরিচালক। আমরা দুজনেই একই অঙ্গনে কাজ করি এবং স্বামী ছাড়া কখনো কোনদিন কোন গানের অনুষ্ঠানে যাই না। আমি ধর্মীয় অনুশাসন যতটা সম্ভব মেনে চলি। কথা হলো আপনারা আমাকে অনেক সম্মান করেন ভালোবাসেন, স্নেহ করেন।আমি সেজন্য আল্লাহর কাছে আপনাদের মঙ্গল কামনায় দোয়া করি।আমি আপনাদের অন্তহীন ভালোবাসায় কৃতজ্ঞ।’
তারপর কনকচাঁপা লেখেন, ‘কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ দুই একটা কমেন্ট আমাকে আহত করে। আপনাদের ধারণা শিল্পী হলেই তারা নষ্ট মানুষ! সবাই কি এক? আর আপনারা বিচার করার কে? আপনার বিচার কে করবে? পরকালে আল্লাহ যদি অনুগ্রহ না করেন তো অনেক ইবাদত করলেও আমরা কেউই কি আমাদের আমল দিয়ে বেহেশতে যেতে পারব? যদি আল্লাহ স্বয়ং অনুগ্রহ না করেন তো আউলিয়াগণও দুশ্চিন্তায় থাকবেন। আমি রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। আমার গানের সময়টুকু ছাড়া কেউ আমাকে দেখবেই না। আমার বাসায় কোনো সাঙ্গীতিক পরিবেশই নাই, নাই বন্ধুবান্ধব শিল্পী সাংবাদিকদের অপ্রোয়জনীয় আড্ডা! ছত্রিশ বছরের বিবাহিত জীবনে দুই সন্তানের জননী আমি। এখন তিন জন নাতি-নাতনির নানী এবং দাদী। আপনারা আমাকে দোয়া করবেন যেন ভালো কিছু কাজ মানুষের জন্য করতে পারি।’
এরপর পরই সেই সব বাজে মন্তব্যকারীদের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন কনকাচাঁপ, ‘আপনি যদি এতোই পরহেজগার হন তো কনকচাঁপার পেজে আপনার কাজ কি! কোরান মজিদ নিয়ে বসুন। আমার নামাজ, আমার তসবিহ তাহলীল, আমার কোরান মজিদ, আমার রোজা, আমার তাহাজ্জুদ, আমার নফল ইবাদতের হিসাব আমি আর আমার আল্লাহ বুঝব। এই উল্টাপাল্টা কমেন্ট করা বাদ দিন। নিজের হিসাব নিয়ে ভাবেন। কমেন্ট করার সুযোগ পেলেই বাজে কমেন্টের অভ্যাস ছাড়ুন। যারা বাজে কমেন্ট অথবা অযথা অযাচিত উপদেশ দেন আমি তাদের কি ভাবি জানেন? ভাবি তারা গণ্ডমূর্খ এবং পারিবারিক ভাবে শিক্ষাহীন। অতএব নিজের পরিচয় নিজে দিন, নিজের আখের নিজে গোছান।’
সবশেষে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ মুছে ফেলতে পারেন বলে জানান এই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। বাংলা গানের ভূবনে কনকচাপা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে সমান পারদর্শী এই শিল্পী।