বাংলাদেশের টার্গেট হেসেখেলেই পার করে দিয়েছে কিউই ব্যাটসম্যানরা
বাংলাদেশ দল খেলতে নামলে এই পুরোনো কথাই রসিকতার নির্মম চাবুক হয়ে কশাঘাত করে। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের সময় উইকেট বোলিংবান্ধব। প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের সময় সে উইকেট-ই কি না ব্যাটিংবান্ধব! এ পুরোনো রসিকতা।
নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে কিউই পেসারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে উড়ে গেছে বাংলাদেশ। দেড়শ রানও করতে পারল না টাইগাররা। ৪৯.৫ ওভারে মাত্র ১৩১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
সিরিজ শুরুর আগে পেসারদের নিয়ে আশার কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ড ওপেনারদের শুরুটা কিন্তু তাঁর আশার পক্ষে কথা বলে না। অবশ্য ১৩১ রানের পুঁজি নিয়ে বোলারদের পক্ষে লড়াই করাটাও কঠিন ছিল।
খেলা দেখে মনে হলো এ যেন পাড়ার ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলল নিউজিল্যান্ড। অথচ ম্যাচ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও কোচ ডমিঙ্গো বলেছিলেন, চমৎকার প্রস্তুতি সেরেছেন এবার। ক্রিকেটাররাও নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন। ৩ স্পেশালিস্ট পেসারকে দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চমকে দেবেন তারা।
পুরো খেলায় টি-টোয়েন্টি মেজাজে বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধোনা করে যাচ্ছিলেন গাপটিল। মাত্র ১৮ বলে ৩৯ রান করেছেন। তার টর্নেডো ইনিংস থামিয়ে দেন পেসার তাসকিন। কিন্তু এ উইকেট প্রাপ্তির উল্লাস না করলেও চলে।
বাকি কাজটা সারতে ৯ জনের দরকার ছিল না নিউজিল্যান্ডের। একটু দেখে শুনে খেলে ৫৩ বলে ৪৯ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন হেনরি নিকোলস। অবশ্য অপরপ্রান্তে অভিষিক্ত ডেভন কনওয়েকে ২৭ রানে ফেরান হাসান মাহমুদ।
এর ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পেল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। মূলত নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে কিউই পেসারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে উড়ে গেছে বাংলাদেশ।
পেসারদের মধ্যে সব থেকে বেশি বিধ্বংসী ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৮.৪ ওভার বল করে মাত্র ২৭ রানের খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ানডে মঙ্গলবার। এই সিরিজে টিকে থাকতে সে ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। সেই জন্য ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি, অন্তত প্রথম ম্যাচের স্কোরকার্ড তাই বলে। সিরিজে আপাতত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড।