নার্সের বদলে টিকা পুশ করলেন স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় নার্সের বদলে স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) সেলিম আলতাফ জর্জ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খান করোনা টিকা পুশ করেছেন।
তাদের এই টিকা পুশের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সাংসদ ও চেয়ারম্যান টিকা পুশ করায় হইচই পড়ে গেছে। এটা এখন টক অব দা টাউন। এটা নিয়ে দেশের নেট দুনিয়া সরগরম।
বাংলাদেশের সাব জায়গার মতো রবিবার কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলায় করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষিত নার্সও ছিলেন।
কিন্তু প্রশিক্ষিত নার্স পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও তিনজনের শরীরে করোনার টিকা দিয়ে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খান।
প্রশিক্ষিত নার্সের বদলে একজন জনপ্রতিনিধির টিকা পুশের ঘটনা খুবই ভয়ানক বলে দাবি করেছেন চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কয়েকজন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, দক্ষ নার্স, চিকিৎসক বা চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কেউ এটা পুশ করতে পারেন না।
এই বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিকেলে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা কোনোভাবেই তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) করতে পারেন না। করোনা টিকা দেওয়ার জন্য নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারাই টিকা প্রদান করতে পারেন। অন্য কারও টিকা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
- আসন্ন পৌরসভার নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলামের মনোনয়নপত্র দাখিল
- সিডিএর খাতায় একটি এলইডি বাতির দাম ২ লাখ ৭১ হাজার টাকা মাত্র!
সেখানে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সময় সিরিঞ্জ হাতে নিয়ে তিন জনের শরীরে টিকা দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান খান। নার্স ও চিকিৎসকেরা তাকে সহায়তা করেন।
তিন জনকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের টিকা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে তাকে টিকা পুশ করতে দেখা যায়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যে তিন জনের শরীরে করোনার টিকা পুশ করেছেন তারা হলেন কুমারখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মী মোখলেছুর রহমান ও স্থানীয় সাংবাদিক কে এম আর শাহীন।
এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খানের বক্তব্য জানার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।