দেশের জন্য তিনজন অশিক্ষিত মানুষের অবদান
তিনজন অশিক্ষিত মানুষ আমার প্রিয় বাংলাদেশকে মাথায় নিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
১. একজন অশিক্ষিত গার্মেন্টস শ্রমিক।
২. একজন অশিক্ষিত প্রবাসী শ্রমিক।
৩. একজন অশিক্ষিত প্রান্তিক কৃষক।
এরা দেশের জন্য আনে আর বাকীরা খায় এবং আবার পাচার করে। আর একের পর এক নষ্ট কাব্য রচনা করে চলেছে।
এই তিনটি মানুষকে আমরা কি দেই?
১. গার্মেন্টস শ্রমিকঃ
তার কি মজুরি? কি বেতন? কি তার নিরাপত্তা। গার্মেন্টসে অধিকাংশ নারী শ্রমিক। আমরা না পারি তাদের দিতে খাদ্যের নিরাপত্তা, না শরীরের। না আছে তাদের প্রতি আমাদের সন্মানবোধ।। কি আছে তার! কি আছে!!
১. প্রবাসী শ্রমিকঃ
আমরা যারা বাইরে যাই, আমরা জানি কি কষ্ট তাদের। মরুভূমির তপ্ত বালু। তপ্ত বাতাস। আমার ভাই ইট টানছে খোলা আকাশের নীচে।
রাতে ঘুমাবার জায়গা নেই। ভাল খাবার নেই। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে যায় নিজের দেশের দূতাবাসে। হয়রানির অন্ত নেই। দুই বছর তিন বছর পর একবার বাড়ী আসে। এরপর মিলে বিমানবন্দরে হয়রানি আর অসন্মান। আমি নিজে চাক্ষুষ সাক্ষী। বউ সন্তান রেখে যায় বাড়ীতে। নিরাপত্তা নেই। নেই সম্পত্তির নিরাপত্তা। কতো! কতো!!
৩. কৃষকঃ
প্রান্তিক কৃষক। ধান ফলায়। শষ্য ফলায়। ন্যায্য মূল্য পায়না। কাঁদে। কে শুনে তার কান্না! মিলায় আকাশে বাতাসে। আহা গফুর! আহা আমেনা! আহা শরৎবাবু!!!
শেখ মুজিব স্বাধীনতা বলার আগে বলেছিল- এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।
শেখ মুজিব বলেছিল- এই দুর্নীতি চোরাকারবারি বন্ধ করতে পারলে দেশের ২৫% – ৩০% মানুষের কষ্ট ঘুছে যাবে। শেখ মুজিব বলেছিল- এ সকল মানুষের কষ্ট দেখলে আমি পাগল হয়ে যাই।
আহা রাখাল রাজা। আর আসবেনা ফিরে। শেখ মুজিব বেঁচে থাকলে বেঁচে থাকতে পারতোনা চোরা কারবারী। লুটেরা। দুর্নীতিবাজ।
কোন ক্লাবে আসতোনা বিনা শুল্কের মদ সিন্ডিকেট। যারা আমার রাষ্ট্রের স্বাধীনতা জিম্মি করে ফেলেছে, তা কোনদিন পারতোনা। ঐ এক আওয়াজের কাছে সকল অসূর, সকল দানব মানতো পরাভব।।
যারা আমার স্বাধীন ভূখণ্ডকে কাঁধে নিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে, আসুন সেই তিনটি অশিক্ষিত মানুষের জন্য কিছু করি।
একটি সুন্দর ব্যবস্থা দাঁড় করাই। সেটাই হবে মুজিব আদর্শ। গার্মেন্টস শুধু মালিকের নয়। শ্রমিকেরও।।
একটা সময় মানুষ দাস কিনতো। এখন তারা Textile/গ্যার্মেন্টস শ্রমিক কিনে। একটা দাসের যেমন কোনো মূল্য নেই, তেমনই গ্যার্মেন্টস শ্রমিক দের জীবন এর কোনো মূল্য নেই এই সমাজে।
গ্যার্মেন্টস শ্রমিক দের কোনো বাবা,মা,ভাই, বোন পরিবার নেই। গার্মেন্টসের শ্রমিক কর্মচারীরা হলো গাধা। এরা সারা বছর শুধু গাধার মত খাটবে আর দেশের অর্থনিতীতে অগ্রনি ভূমিকা রেখে বড় বড় চোরদের চুরি করার সুযোগ করে দিবে।
এরা হল রোবট। এদের কোন বিনোদন করার অধিকার নাই। এদের কোন আত্মীয় স্বজন নাই।
মো. আমিরুল ইসলাম মন্ডল এর ফেসবুক থেকে নেয়া।