হেলমেট মনের কথা বুঝবে!
বাইক রাইডে নিরাপত্তার জন্য হেলমেট ব্যবহার চোখে পড়ে। কিন্তু কেমন হবে যদি মানুষের মন বুঝতে পারে এমন একটি হেলমেট? মাথায় পরিহিত হেলমেট মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। বুঝতে পারবে মানুষের মনও। এমন হেলমেট তৈরি করেছে কারনেল নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি নিউরোটেকনোলজি প্রতিষ্ঠান।
এতে এমন সব সেন্সর ও বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলো মস্তিস্কের বৈদ্যুতিক পালস ও রক্তে প্রবাহের গতি পরিমাপ এবং বিশ্নেষণ করতে পারে।
এসব প্রযুক্তিতে ব্যবহার হয় উঁচুমানের যন্ত্র। এসব যন্ত্র ব্যবহারে পরীক্ষার জন্য রোগীকে ক্লিনিক্যাল সেটআপে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এ প্রযুক্তি এবার হেলমেটের মধ্যেই নিয়ে আসা হয়েছে।
উদ্ভাবিত হেলমেটের ওজন দুই পাউন্ডের মতো। এটি ৫০ হাজার ডলারেই কেনা যাবে। মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ও ইলেক্ট্রনিক্স ইমপালসের ভিত্তিতে এটি কাজ করবে।
“হেলমেটটি”সহজেই মানুষের মনের ভাষা শনাক্ত করতে পারবে। তাছাড়া এটি মস্তিষ্কের বয়স বেড়ে যাওয়া, মানসিক রোগ বা এর পেছনের কারণ এবং বিভিন্ন মেটাফিজিক্যাল ডিসঅর্ডার শনাক্ত করার কাজ করতে সক্ষম”
কর্নেলের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান জনসন বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা হেলমেটটি বাজারে আনব। এটি সহজেই মানুষের মনের ভাষা শনাক্ত করতে পারবে। তাছাড়া এটি মস্তিষ্কের বয়স বেড়ে যাওয়া, মানসিক রোগ বা এর পেছনের কারণ এবং বিভিন্ন মেটাফিজিক্যাল ডিসঅর্ডার শনাক্ত করার কাজ করতে সক্ষম।’
ব্রায়ান জনসন আরও বলেন, হেলমেটটি তৈরি করতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। ‘এর মাধ্যমে আপনি উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টরল স্বাভাবিক আছে কী না সেটি পরীক্ষা করতে পারবেন।’
জনসন বলেন, ‘মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করেই এটি তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য ওই গ্রাহকদের গুনতে হবে ৫০ হাজার ডলার। তবে ২০৩০ সাল নাগাদ এই হেলমেটের দাম একটা স্মার্টফোনের দামে নামিয়ে আনতে চায় কারনেল। জনসন জানান, হেলমেট ব্যবহারকারীরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।
মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে জনসন ক্যালিফোর্নিয়ায় স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান কর্নেল প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ তখন তার মাথায় ঘুরছে এমন একটি হেলমেট বানানোর উচ্চাকাক্সক্ষা যা মানুষের মনের কথা বুঝতে পারবে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধি, বিভিন্ন মানসিক রোগ কিংবা এর পেছনের কারণসহ আরও নানা কাজ করা সম্ভব।