স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর মন্তব্য করায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদশে সাংবাদিক সংস্থার জেলা প্রতিনিধি আক্কাস সিকদারকে বহিস্কারের দাবি করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (৩০,জুলাই) সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাসহ সদস্যদের সাথে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত করে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তাদের দাবি জানিয়েছেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্তসহ সাংবাদিকবৃন্ধ আগামী দুই/এক দিনের মধ্যে তাদের সাংগঠনিক সভা আহবান করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন। সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো: শাহ আলম, সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, যুগ্মসম্পাদক কাউন্সিলর তরুন কুমার কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিল, সাংগঠনিক সম্পাদক শারমীন মৌসুমী কেকা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহামুদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খসরু নোমান, এইচ এম মানিক, জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর এইচ এম আল আমিন প্রমুখ।
অপর দিকে এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্ত, প্রবীন সাংবাদিক হেমায়েত উদ্দিন হিমু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান, সহসভাপতি দুলাল সাহা, সাবেক সহসভাপতি শ্যামল সরকার, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জলিল, মানিক আচার্য্য, তরুন সরকার, অলোক সাহা, রতন আচার্য্য, বরকত মৃধা।
প্রসঙ্গত ফেসবুকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রীকে নিয়ে মানহানীকর মন্তব্য করায় গত বুধবার রাতে বাংলাদশে সাংবাদিক সংস্থার জেলা প্রতিনিধি আক্কাস সিকদারের বিরুদ্ধে, জেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তে সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলা দায়েরের পর সে কটুক্তির কোন জবাব না দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো: শাহ আলমকে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকাকে ব্যক্তিগত আক্রামন করে মামলার অভিযোগ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও আক্কাসের বিরুদ্ধে ঝালকাঠির এক সাংবাদিককে মারধোর করে ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলাও সম্প্রতি চার্জেশিট দিয়েছে বরিশাল পিবিআআই।