সাড়ে ২২ কেজির কাতলা ধরা পড়ল পদ্মায়:
পদ্মা নদী থেকে ২২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পড়েছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের কাছের পদ্মা নদীতে এই মাছটি ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছটি জেলেদের জালে ধরা পড়ার পর নিলামে প্রথমে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ৩১ হাজার ৫০০ টাকায় স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ী কিনে নেন। আর ওই মৎস্য ব্যবসায়ীই পরে ঢাকার ব্যবসায়ীর কাছে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৭৫০ টাকায় মাছটি বিক্রি করেন।
জানা গেছে যে, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বাহির চর ছাত্তার মেম্বারপাড়ার জেলে কাদের চালাক ও তাঁর সহযোগীরা মিলে পদ্মা নদীতে বড় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন। তারা পরপর দুবার জাল ফেলেও কিছু পাননি।
পরে বেলা দুইটার দিকে তৃতীয়বার জাল তোলার সময় বড় ঝাঁকি দিলে বুঝতে পারেন, জালে বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে। জাল টেনে নৌকার কাছে আনামাত্র সবাই দেখতে পান যে, বড় একটি মাছ ধরা পড়েছে। আর সেই মাছটিই উক্ত কাতলা মাছ। দ্রুত জাল গুটিয়ে তাঁরা মাছটি নিয়ে আসেন ফেরিঘাটে।
সেখানে এসেই মাছটি ওজন দিয়ে দেখতে পান, কাতলা মাছটির ওজন ২২ কেজি ৫০০ গ্রাম হয়েছে। এ সময় মাছের আড়তদার দুলাল চালাক মাছটি নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন। মাছটি কিনেই তিনি ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটসংলগ্ন চাঁদনী-আরিফা মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী চান্দু মোল্লা বলেন, পদ্মা নদীর বাহির চর দৌলতদিয়া এলাকায় জেলে কাদের চালাকের জালে তরতাজা কাতলা মাছটি ধরা পড়ে। তাজা অবস্থায় মাছটি তিনি ফেরিঘাটে নিয়ে এলে উন্মুক্ত নিলামে অংশ নিয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ২২ কেজি ৫০০ গ্রামের মাছটি ৩১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনে নেন তিনি।
তবে শর্ত থাকে, মাছটি বিক্রি করে টাকা পাওয়ার পর আড়তদারকে দেওয়া হবে। এ সময় বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করলে বিকেলের দিকে ঢাকার একজনের কাছে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে মোট ৩৩ হাজার ৭৫০ টাকায় মাছটি বিক্রি করেন তিনি। চান্দু মোল্লা জানান যে, পদ্মার মাছ হলে অন্যান্য স্থানের থেকে একটু বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করেন তিনি।
গোয়ালন্দ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, ”মাঝেমধ্যেই পদ্মা নদীর বিভিন্ন মোহনায় বড় বড় মাছ ধরা পড়ে। এ ধরনের মাছ আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের জন্য সুখবর নিয়ে আসে। কিন্তু, অতি মাত্রার দামের কারণে সাধারণত এ অঞ্চলের মানুষ ওই মাছ কিনতে পারেন না এবং খেতেও পারেন না।”