সরিষার তেলের গুণগত মান নিজেই পরীক্ষা করুন
আমাদের দেশে খাবারে সয়াবিন, সরিষা, জলপাই তেল বেশি ব্যবহার করে। বিক্রেতাদের উচ্চ চাহিদা এবং লাভের কারণে এই সব তেলতে ভেজাল মিশিয়ে দেন। কোন তেলে কতটা ভেজাল রয়েছে তা আমরা জানি না।
বাজারে এমন কোনো খাবার আইটেমই নেই যাতে ভেজাল নেই। দুগ্ধজাত খাবার, মশলা সবই ভেজাল মিশ্রিত। এমনকি রান্নার তেলও প্রচুর ভেজাল হচ্ছে। কারণ আপনি একটি ভালো প্যাকেট তেল কিনছেন। সরিষার তেলের দাম বেড়েছে অনেকটাই।
কেবল ভোজ্য তেল হিসেবেই নয়, গায়ে মাখার তেল হিসেবেও সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এই তেল অনেকে চুলেও মাখেন। সব মিলিয়ে তাই সরিষার তেলের দাম বেশিই থাকে।
ইদানীং সেই মূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে উপলব্ধ সরিষার তেলের গুণগত মান কতটা খাটি তা নিজেই পরীক্ষা করুন।
আপনি সহজেই বাড়ি থেকে সরাসরি তেল বিশুদ্ধতা এবং গুণমান পরীক্ষা করতে পারেন। তিন ধাপে।
প্রথম পদ্ধতি – ফ্রিজিং পরীক্ষা: কমপক্ষে এক কাপ সরিষার তেল নিন এবং ২-৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। এবার এটি বের করুন। যদি তেলে কিছু সাদা রঙ জমা থাকে তবে বুঝতে হবে এটি নকল, আসল নয়।
দ্বিতীয় পদ্ধতি – আঙুলের সাহায্যে পরীক্ষা: সরিষার তেলের বিশুদ্ধতা চিহ্নিত করার জন্য রাব্বিং টেস্ট আরেকটি দুর্দান্ত উপায়। আপনার তালুতে কিছুটা তেল যোগ করুন এবং ঘষুন। এর পরে যদি আপনি কোনো গন্ধ বা রঙিন রঙের কোনো ট্রেস পান তবে এর অর্থ হ’ল তেলতে কিছু চিটচিটে পদার্থ যুক্ত হয়।
তৃতীয়পদ্ধতি– একটি টেস্ট টিউবে ৫ মিলি সরিষার তেল নিন। এবার এতে ৫ মিলি নাইট্রিক অ্যাসিড যুক্ত করুন। টিউব ওয়েল রাখুন। তেল যদি খাঁটি হয় তবে এর রঙে কোনো পরিবর্তন হবে না। ভেজাল হলে অ্যাসিড লেয়ারের রঙ কমলা-হলুদ থেকে লাল হয়ে যাবে।
নারকেল তেল যেভাবে পরীক্ষা করবেন- স্বচ্ছ কাঁচে নারকেল তেল দিন। এই তেলটি কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রাখুন। মনে রাখবেন এটি ফ্রিজে রাখতে হবে, ফ্রিজারে মধ্যে নয়। এবার তেল জমে যাবে। তেলটিতে কোনো প্রকার ভেজাল থাকলে এই তেলে আলাদা স্তর দেখাবে।
জলপাই তেলে কীভাবে ভেজাল পরীক্ষা করা যায়- কাচের জারে ২-৪ টেবিল-চামচ জলপাই তেল ঢেলে জারটি আটকে দিন। জারটি ফ্রিজে ২৪ ঘণ্টা রাখুন। যদি এই তেলটি হিমশীতল হয় তবে বুঝতে পারেন যে এটি মনস্যাচুরেটেড এবং খাঁটি। এতে কোনো ভেজাল নেই।