রিকশাচালকের বিরুদ্ধে বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক রিকশাচালকের বিরুদ্ধে ৭ বছরের এক বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৪ মার্চ) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দা গ্রামে দুপুর দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওই শিশুর নানী জানায়, শিশুটির বাবার সাথে মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ বিবাহ বিচ্ছেদের পর মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়। তাকে ও তার এক ছোট ভাইকে নানা-নানিই লালন-পালন করে আসছেন৷
রোববার দুপুরে শিশুটি বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। দুপুর দেড়টার দিকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার নানি বিভিন্ন স্থানে খুঁজে পাচ্ছিল না তাকে। পরে তাদের বাড়ির পাশে একটি ঘরে শিশুটির চিৎকার শুনতে পেয়ে নানি ওই ঘরে ডুকে দেখেন সে নগ্ন হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এই সুযোগে মনির নামের এক যুবক সেই ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মনির মিয়া (৩০) ওই এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে ও সে পেশায় একজন রিকশা চালক।
তিনি আরও জানান, ‘বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা একেকজন একেক মত দেন। পরবর্তীতে রাতে এলাকার এক লোকের মাধ্যমে পুলিশকে জানায়। সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পরে হাসপাতালে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।
শিশুটির বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলে গাইনী বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. ফৌজিয়া আখতার মুঠোফোনে জানান, শিশুর প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত বলা কঠিন। ধর্ষণ নাকি আঘাত পেয়ে শিশুটির রক্তক্ষরণ হয়েছে তা পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট পেলে বলা যাবে৷ তবে শিশুটির ওই গোপন স্থানে আঘাত ও রক্তক্ষরণের চিহ্ন পেয়েছি। কমিটির মাধ্যমে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জানাবো।
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শিশুটি ধর্ষিত হয়েছে কিনা ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছ। এই ঘটনায় এখনো লিখিত কোন অভিযোগ থানায় হয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইননুসারে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।