যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক বলয়ে যোগ দিতে চায় না বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করতে বাংলাদেশ আগ্রহী নয়।
যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে সোমবার মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থোনিও ব্লিনকেনের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে তার কোনো কথা হয়নি। তবে পরে হোয়াইট হাউস থেকে একজন ডেপুটি তাকে ফোন করে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা নিয়ে একটি জোরালে প্রোগ্রাম করতে চান। জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা এখন আমাদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। প্রথমত আমাদের লোকদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান দিতে হবে। তাদের আমাদের সুন্দর একটি জীবন দিতে হবে। এ ছাড়া সব দেশ আমাদের বন্ধু। সুতরাং আমরা খাদ্য ও ভালো জীবন দেয়ার বিষয়ে আমরা বেশি উদ্বিগ্ন।’
তবে কে ফোন করেছে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, নাম বলতে পারবো না। একজন ভদ্রমহিলা আমাকে ফোন করেছিলেন। তারা বলেছে, বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা নিয়ে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। আমি বলেছি এটি নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করি না। আমরা অনেক বেশি নিরাপদ।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি আপনারা প্রায়ই আমাদের উপদেশ দেন সুশাসন ও আইনের শাসন নিয়ে। আমরা আইনের শাসন ও আইনের বিচার চাই এবং আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
জবাবে ব্লিনকেন বলেছেন, এটি বিচার বিভাগের কাজ, তারা স্বাধীন। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে সে দেশের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে আলাপ হলেও কেউই আল-জাজিরার প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ তোলেননি দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, আল-জাজিরার কথিত অনুসন্ধানী রিপোর্টটি একটি নাটক ছিল এবং অত্যন্ত ‘দুর্বল নাটক’ ছিল এটি। এতে তদন্তের কোনো উপাদান নেই দাবি করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ও সিনেটর অনেকের সঙ্গে আমার নানা বিষয়ে আলাপ হয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই আল-জাজিরার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে কোনো কথা তোলেননি।
তবে ভয়েস অব আমেরিকা, আমেরিকার সময়, আমেরিকা প্রতিদিন, আমেরিকার বাংলা টিভিসহ আরো দু’একটা টিভিতে সাক্ষাৎকার প্রদানকালে তারা এ নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন। আমরা বলেছি, আল-জাজিরা একটা নাটক লিখেছে। তার স্ক্রিপটা ছিল ভুলে ভরা এবং দুর্বল, যা একেবারেই বেমানান। যদি এটি সত্য হতো তবে অবশ্যই সরকার তদন্ত করতো এবং ব্যবস্থা নিতো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আল-জাজিরার কথিত অনুসন্ধানে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন ব্যক্তিকে তার ভাইদের অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। যা একেবারেই ঠিক নয়। এক ভাইয়ের অপরাধে অন্য ভাইকে অভিযুক্ত করা যায় না।
এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন উচ্চপদস্থ রাজনীতিকের পরিবার বিশেষত তার ভাইয়ের মাফিয়া সিন্ডিকেটের দীর্ঘ বর্ণনা দিয়ে বলেন, ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের ওই রাজনীতিকের মাফিয়া সম্রাট ভাইয়ের জন্য কিন্তু কেউ তাকে অভিযুক্ত করেনি বা প্রশ্ন তোলেনি। কারণ ওই রাজনীতিবিদ তার ভাইয়ের ঠিক বিপরীত চরিত্রের ছিলেন এবং ভালো ছিলেন।