মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান শুরু হচ্ছে আগামীকাল
প্রথমবারের মতো উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চালনা শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার বেলা ১১টায়। তবে মেট্রোরেলের এ অংশে যাত্রী পরিবহন করবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র এই তথ্য জানায়।
জানা গেছে, গত ২৯ অগাস্ট প্রথমবারের মতো ছয়টি বগি নিয়ে দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক চলে মেট্রোরেল। এরপর থেকে নিয়মিতই পরীক্ষামূলক যাত্রা চলছে। এবার বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল পরীক্ষামূলক চালানো হবে।
এক বছরে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে আগামী বছরের ডিসেম্বরে এই অংশে মেট্রো চলবে যাত্রী নিয়ে। পরীক্ষামূলক এই চলাচলে যাত্রী পরিবহন করা হবে না। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে মিলিয়ে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী চড়তে পারবে। এই মেট্রোরেল পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত। সঙ্কেত, যোগাযোগসহ ১৭-১৮টি ব্যবস্থা ট্রেন চলার ক্ষেত্রে কাজ করে।
যাত্রীদের সুবিধার্থের স্টেশনে যানবাহনের ব্যবস্থার রাখা হবে। এরই মধ্যে ভাড়ার প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। আগারগাঁও থেকেই মাথা তুলে দাড়িয়েছিল দেশের প্রথম মেট্রোর পিলারগুলো। গত কয়েক বছরে স্থাপিত হয়েছে ভায়াডাক্ট।
ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ অবয়ব পেয়েছে মেট্রোরেল। এই অংশের নয়টি স্টেশনের অবকাঠামোও তৈরি হয়ে গেছে। এ বছরের শুরুতে জাপান থেকে মেট্রোর সেটগুলো আসা শুরু হলে প্রতিটি ট্রেনের আলাদা ট্রায়াল রান হয়।
এ পর্যন্ত সাত সেট ট্রেনের পরীক্ষায়মূলক চলাচল হয়েছে বছর জুড়েই। তবে লক্ষ্য ছিল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল রান। সেটিই হবে রোববার (১২ ডিসেম্বর)। যাত্রী নিয়ে চলাচলে প্রয়োজন আরও বেশ কিছু অবকাঠামো নির্মাণ ও পরীক্ষার। দিয়াবাড়ির ডিপো, নয়টি স্টেশন আর লাইন জুড়েই সেসবের কাজ চলছে জোরেশোরে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রো। আগারগাঁওয়ে স্টেশনে যাত্রী নামার পর গন্তব্যে পৌছতে ব্যবস্থা থাকবে যানবাহনের। ডিএমটিসিএল এর এমডি এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রো থেকে নেমেই যাত্রীরা বাস পাবেন, এছাড়াও থাকবে বিআরটিসি বাস। এ ব্যাপারে আমরা শীঘ্রই বিআরটিসি’র সাথে চুক্তি করবো।
মেট্রোর ভাড়ার প্রস্তাবনা এরই মধ্যে জমা দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। মেট্রোর নিরাপত্তায় স্বতন্ত্র পুলিস ফোর্স গঠনে ৩৫৭ জনের জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলছে।