মালিতে ফ্রান্সের বিমান হামলায় ১৯ বেসামরিক নিহত দাবি জাতিসংঘের
মালিতে গত জানুয়ারিতে ফ্রান্সের চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এক তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরের শুরুতে মালির মধ্যাঞ্চলীয় মোপতি অঞ্চলে অভিযান চালায় ফরাসি বিমানবাহিনী। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
যদিও ফ্রান্স বিমান বাহিনীর দাবি, তারা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছিল। জাতিসংঘের তদন্তে বিষয়টি এলেও প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে প্যারিস। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বছরের শুরুতে মালির মোপতি অঞ্চলের বাউন্তি নামের একটি দুর্গম গ্রামে অভিযান চালায় ফরাসি যুদ্ধবিমান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বেসামরিক মানুষ উপস্থিত থাকা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই অভিযান চালানো হয়।
তবে ওই অভিযানের পর ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় আকাশ দিয়ে নজরদারি চালানোর সময় ওই স্থানে ৩০ জন বিদ্রোহী যোদ্ধাকে চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়া সেদিন ওই গ্রামে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল না বলেও দাবি করে প্যারিস।
পরে ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে মালির জাতিসংঘ মিশন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের একটি সারাংশ হাতে পেয়েছে এএফপি। এতে বলা হয়েছে, সেদিন বিয়ের অনুষ্ঠানই চলছিল। আর এ উপলক্ষে সেখানে প্রায় একশ’ বেসামরিক মানুষ সেখানে জমায়েত ছিল।
তদন্তে দেখা গেছে হামলায় ১৯ জন বেসামরিক মানুষ এবং সেখানে উপস্থিত তিনজন সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয়। সশস্ত্র ব্যক্তিরা আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী কারিতা সারমা গ্রুপের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১১৫ জন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার এবং প্রায় একশ’টি টেলিফোন সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের তদন্ত দল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হামলায় আক্রান্ত হওয়া গ্রুপটির বড় অংশই বেসামরিক নাগরিকদের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছিল, যারা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী সুরক্ষিত। গত ৩ জানুয়ারি মালির মধ্যাঞ্চলে ফ্রান্সের চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১৯ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে আফ্রিকায় ৪ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন রেখেছেন ফ্রান্স। পশ্চিম আফিক্রার বুরকিনা ফাসো, মালি, মরিশানিয়া, নাইজার ও শাদে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে তারা